শারদীয়Navratri 2024-এ ষষ্ঠ দিনে মা কাত্যায়নীর পূজা-অর্চনা করা হয়। মা কাত্যায়নী দুর্গাপূজার ষষ্ঠ রূপ হিসাবে পূজিত হন। এই দিনটি ভক্তদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ মা কাত্যায়নীকে শক্তি, সাহস ও বিজয়ের দেবী হিসেবে মানা হয়।
মা কাত্যায়নীর আরতি
জয় মা কাত্যায়নী, জয় মা কাত্যায়নী।
জয় মা কাত্যায়নী, জয় মা কাত্যায়নী॥
দূর্গা ভবানী, মা কাত্যায়নী।
হরি হরি বলো, মা কাত্যায়নী॥
কাত্যায়নী জয়, মহাক্রুরী জয়।
হরি হরি বলো, মা কাত্যায়নী॥
গৌরীর রূপে, প্রকট হলেন।
হরি হরি বলো, মা কাত্যায়নী॥
সংকট দূর করো, ভক্তদের শোনো।
হরি হরি বলো, মা কাত্যায়নী॥
সবার মনের, করে দাও তুমি পূর্তি।
হরি হরি বলো, মা কাত্যায়নী॥
জয় মা কাত্যায়নী, জয় মা কাত্যায়নী।
জয় মা কাত্যায়নী, জয় মা কাত্যায়নী॥
মা কাত্যায়নীর মন্ত্র
* ওঁ হ্রীং কাত্যায়নী মহামায়ে মহাদেবী নমোহস্তুতে।
* ওঁ কাত্যায়ন্যৈ চ বিদ্মহে।
মহমায়ায়ৈ চ ধীমহি।
তন্নো দেবী প্রচোদয়াৎ॥
* ওঁ কাত্যায়ন্যৈ নমঃ॥
মা কাত্যায়নীর জন্য ভোগের বিশেষ বস্তু
* দই: মাকে দই অর্পণ করলে শুভ ফল লাভ হয়।
* মধু: এই মিষ্টি ভোগ মায়ের প্রিয় এবং এটি তাঁর কৃপা লাভের জন্য অর্পণ করা হয়।
* ফল: যেমন আপেল, আম, কলা, বেদানা ইত্যাদি। মরশুমি ফল অর্পণ করুন।
* গুড়: গুড় নিবেদন করলে সব ধরনের সমস্যার সমাধান হয়।
* পূজার সামগ্রী: চাল, চুড়ি, সিঁদুর, মালা, প্রদীপ ইত্যাদি।
* কন্দ-মূল: আলু, মিষ্টি আলু এবং কচুর মতো কন্দ-মূল।
* পঞ্চামৃত: দই, মধু, দুধ, ঘি এবং চিনির মিশ্রণ।
* লাড্ডু: বেসন বা সুজির লাড্ডু নিবেদন করা যেতে পারে।
* বেসনের পদ: যেমন বেসনের কড়ি বা বেসনের চিল্লা।
* পাতা: মাকে তুলসী পাতা বা কেলুর পাতা অর্পণ করাও শুভ বলে মনে করা হয়।
মা কাত্যায়নীর স্তুতি
জয় দেবী কাত্যায়নী, জগৎ জননী ভবানী।
তুমি শক্তিপীঠ, সুখদায়িনী, মা, করুণাময়ী।।
জগতে তুমিই আলো, সকলের করো উদ্ধার।
কাত্যায়নী মাতা, তোমার দ্বারে আসি বারবার।।
দুষ্টের বিনাশ করো, ভক্তের করো উদ্ধার।
কাত্যায়নী মা, তোমার চরণে সারা জগৎ সংসার।।
শরণ নিতে এসেছি, ভক্ত আমি, করো ভালো।
জয় কাত্যায়নী মাতা, তুমিই সবার ভরসা।।
মা কাত্যায়নীর প্রার্থনা
হে মা কাত্যায়নী,
আমি তোমার চরণে আশ্রয় চাই।
তোমার কৃপায় আমার সকল মনোকামনা পূর্ণ হোক,
আমার জীবনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি আসুক।
তুমি তোমার ভক্তদের উপর সর্বদা সদয় থেকো,
দুঃখ-কষ্ট ও সংকট থেকে দূরে রেখো।
তোমার আশীর্বাদ সর্বদা আমার সঙ্গে থাকুক,
এবং আমি যেন সত্যিকারের হৃদয় দিয়ে তোমার ভক্তি করতে পারি।
হে দেবী, তুমি আমাকে শক্তি ও সাহস দাও,
যাতে আমি জীবনের কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারি।
তোমার কৃপায় আমার প্রতিটি কাজ সফল হোক,
এবং আমি যেন একজন সত্যিকারের ভক্তের মতো তোমার চরণে থাকতে পারি।
জয় মা কাত্যায়নী।
তোমার অসীম আশীর্বাদ সর্বদা আমার সঙ্গে থাকুক।
মা কাত্যায়নীর ব্রত কথা
প্রাচীন কালে এক ঋষি কাত্যায়ন ছিলেন, যিনি ধ্যান এবং তপস্যায় মগ্ন থাকতেন। তাঁর তপস্যায় প্রভাবিত হয়ে দেবী দুর্গা তাঁর সামনে প্রকট হয়ে বলেন যে তিনি তাঁর আরাধনায় সন্তুষ্ট হয়ে তাঁর ঘরে প্রকট হতে চান। ঋষি দেবীর ইচ্ছা স্বীকার করেন এবং মা কাত্যায়নীর পূজা শুরু করেন।
একদিন, ঋষি কাত্যায়ন দেবীর কাছে প্রার্থনা করেন যেন তাঁর ঘরে এক কন্যা জন্ম হয়, যে সারা বিশ্বকে সুখ ও শান্তি দিতে পারে। মা দুর্গা তাঁর প্রার্থনা স্বীকার করেন এবং তাঁকে মা কাত্যায়নীর রূপে এক কন্যা দেন। যখন কন্যা জন্মগ্রহণ করে, তখন ঋষি তাকে মাএটিও পড়ুন:-
মাসিক শিবরাত্রি ২০২৪: তাৎপর্য, শুভ মুহূর্ত ও শিবলিঙ্গে নিবেদনের বিশেষ জিনিস
হোলির রহস্যময় হাভেলি: রাধিকা ও কৃষ্ণের সাহসিকতা
