২০২৫ সালের বৈশাখ অমাবস্যা: পূর্বপুরুষদের জন্য প্রদীপ জ্বালানোর গুরুত্ব ও পদ্ধতি

🎧 Listen in Audio
0:00

২০২৫ সালের বৈশাখ অমাবস্যা ২৯ এপ্রিল। এই দিন পূর্বপুরুষদের জন্য প্রদীপ জ্বালানোর মাধ্যমে মনের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয় এবং পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ লাভ করা যায়। জেনে নিন এর গুরুত্ব।

বৈশাখ অমাবস্যা ২০২৫: ২০২৫ সালে বৈশাখ অমাবস্যা ২৯ এপ্রিল। এই দিন পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশের একটি বিশেষ দিন। এই দিন পূর্বপুরুষদের শ্রদ্ধাঞ্জলি अर्পণ করার জন্য বিশেষভাবে প্রদীপ জ্বালানোর প্রথা রয়েছে। এই দিন তাদের আশীর্বাদ লাভ এবং পরিবারের সমৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং তাদের শান্তি প্রেরণের জন্য এই দিন প্রদীপ জ্বালানোর ফলে অসাধারণ উপকার পাওয়া যায়।

প্রদীপ জ্বালানোর সঠিক পদ্ধতি

বৈশাখ অমাবস্যার দিন প্রদীপ জ্বালানো একটি বিশেষ ধর্মীয় কर्म, যা পূর্বপুরুষদের আত্মাকে শান্তি দেওয়ার সাথে সাথে পরিবারে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার করে।

প্রদীপ জ্বালানোর সবচেয়ে শুভ সময়: সন্ধ্যার সময় পূর্বপুরুষদের জন্য প্রদীপ জ্বালানো সবচেয়ে উত্তম।

প্রদীপের প্রকার: মাটির প্রদীপ সবচেয়ে শুভ বলে মনে করা হয়। যদি মাটির প্রদীপ না থাকে, তাহলে ধাতুর প্রদীপও ব্যবহার করা যাবে।

তেলের নির্বাচন: প্রদীপে সরিষার তেল অথবা তিলের তেল ব্যবহার করুন, এটি পূর্বপুরুষদের প্রসন্ন করে।

বাতি তৈরি: তুলোর বাতি তৈরি করে তেলে ডুবিয়ে প্রদীপ প্রজ্বলিত করুন।

প্রদীপ জ্বালানোর সঠিক স্থান

প্রদীপ জ্বালানোর জন্য সঠিক স্থান নির্বাচন করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কিছু স্থান উল্লেখ করা হলো যেখানে প্রদীপ জ্বালানো বিশেষভাবে ফলপ্রসূ বলে মনে করা হয়:

ঘরের দক্ষিণ দিক: দক্ষিণ দিককে পূর্বপুরুষদের দিক বলে মনে করা হয়। এই দিকে প্রদীপ জ্বালানোর ফলে পূর্বপুরুষদের শান্তি মেলে। আপনি এটি ঘরের আঙ্গিনা, ছাদ অথবা দক্ষিণ দিকের দেওয়ালের কাছে রাখতে পারেন।

তুলসী গাছের কাছে: তুলসী গাছ ঘরে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার করে এবং পূর্বপুরুষদের জন্য প্রদীপ জ্বালানোর ফলে তাদের আশীর্বাদ লাভ করা যায়।

পিপুল গাছের নিচে: পিপুল গাছে পূর্বপুরুষদের বাস বলে মনে করা হয়। যদি আপনার আশেপাশে পিপুল গাছ থাকে তাহলে সেখানে প্রদীপ জ্বালানো বিশেষ উপকারী।

খালি জায়গা: ঘরের কোনো শান্ত ও খালি জায়গায় প্রদীপ জ্বালানোর ফলে পূর্বপুরুষদের শান্তি মেলে এবং পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে।

প্রদীপ জ্বালানোর ধর্মীয় গুরুত্ব

ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রদীপের আলো পূর্বপুরুষদের আত্মাকে শান্তি প্রদান করে এবং তাদের তাদের লোকে যাওয়ার সাহায্য করে। এছাড়াও, এই কर्मের ফলে পরিবারে সমৃদ্ধি, সুখ এবং খুশী থাকে।

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, পূর্বপুরুষদের জন্য নিয়মিত প্রদীপ জ্বালানোর ফলে পিতৃদোষ কমে এবং জীবনে আসা বাধাগুলি দূর হয়। এছাড়াও, পরিবারে উন্নতি, স্বাস্থ্য এবং সমৃদ্ধি বজায় থাকে।

Leave a comment