ইসরোর প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডঃ কৃষ্ণাস্বামী কস্তুরীরঙ্গনের মৃত্যু

🎧 Listen in Audio
0:00

ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানের दिग्গজ এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)র প্রাক্তন অধ্যক্ষ কৃষ্ণাস্বামী কস্তুরীরঙ্গনের শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে মৃত্যু হয়েছে। তিনি ৮৪ বছর বয়সী ছিলেন এবং বেঙ্গালুরু स्थित তাঁর আবাসে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

বেঙ্গালুরু: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)র প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং প্রতিष्ठিত মহাকাশ বিজ্ঞানী ডঃ কৃষ্ণাস্বামী কস্তুরীরঙ্গনের শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে মৃত্যু হয়েছে। তিনি ৮৪ বছর বয়সী ছিলেন এবং প্রায় সকাল ১০টায় তাঁর निवासস্থানে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যু ভারতীয় বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। রবিবার তাঁর পার্থিব দেহ রমন রিসার্চ ইন্সটিটিউটে শেষবারের জন্য দেখার জন্য রাখা হবে, তারপর তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।

ভারতীয় মহাকাশ ক্ষেত্রে নতুন দিকনির্দেশনা

ডঃ কস্তুরীরঙ্গনের জীবন ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক। তিনি ১৯৯৪ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ইসরোর অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ভারতীয় মহাকাশ কর্মসূচিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেন। তাঁর कार्यकाल ইসরোর জন্য অত্যন্ত সফল ছিল, যাতে অনেক ঐতিহাসিক উপগ্রহের উৎক্ষেপণ এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত সাফল্য অন্তর্ভুক্ত ছিল। তাঁর নেতৃত্বের ক্ষমতা এবং বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি ভারতকে বিশ্ব মহাকাশ ক্ষেত্রে একটি প্রধান শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।

ডঃ কস্তুরীরঙ্গনের নির্দেশনায় ইসরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করে। বিশেষ করে, তিনি ভারতীয় ধ্রুবীয় উপগ্রহ উৎক্ষেপণ যান (PSLV) এর সফল উৎক্ষেপণ এবং পরিচালন নিশ্চিত করেছিলেন, যা আজও ভারতীয় মহাকাশ কর্মসূচির মেরুদণ্ড। এছাড়াও, জিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (GSLV) এর প্রথম সফল পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের তত্ত্বাবধানও ডঃ কস্তুরীরঙ্গন করেছিলেন, যা ইসরোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন ছিল।

উপগ্রহ উন্নয়নে অবদান

ডঃ কস্তুরীরঙ্গনের कार्यकालে ভারত অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপগ্রহের উন্নয়ন করেছে, যার মধ্যে IRS-1C এবং IRS-1D উপগ্রহের উৎক্ষেপণ এবং উন্নয়ন অন্তর্ভুক্ত। এই উপগ্রহগুলি কেবলমাত্র ভারতের দূরবর্তী সংবেদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করেনি, বরং ভারতকে বিশ্ব উপগ্রহ ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান দিয়েছে।

এছাড়াও, তিনি দ্বিতীয় এবং তৃতীয় প্রজন্মের ইনস্যাট উপগ্রহের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, যা আজও ভারতের যোগাযোগ এবং আবহাওয়া বিজ্ঞানের প্রধান যন্ত্রপাতি।

এর আগে, ডঃ কস্তুরীরঙ্গন ইসরো উপগ্রহ কেন্দ্রের পরিচালকও ছিলেন, যেখানে তিনি ভারতীয় জাতীয় উপগ্রহ (ইনস্যাট-২) এবং ভারতীয় দূরবর্তী সংবেদন উপগ্রহ (আইআরএস-১এ এবং আইআরএস-১বি) এর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। উপগ্রহ আইআরএস-১এ-র উন্নয়নে তাঁর অবদান ভারতের উপগ্রহ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং দেশকে মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতা করার ক্ষমতা প্রদান করে।

সরকার এবং নীতি নির্মাণে অবদান

ডঃ কস্তুরীরঙ্গন কেবলমাত্র মহাকাশ বিজ্ঞানে অবদান রাখেননি, বরং সরকারী নীতি নির্মাণেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তিনি মহাকাশ ক্ষেত্রে সরকারের কৌশলগুলিকে আকার দেওয়ার ক্ষেত্রেও সহায়তা করেছিলেন, যার ফলে ভারতের মহাকাশ নীতি বিশ্বব্যাপী প্রসঙ্গে আরও শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে।

ভারতের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি

ডঃ কৃষ্ণাস্বামী কস্তুরীরঙ্গনের মৃত্যুতে ভারতীয় বিজ্ঞান এবং মহাকাশ সম্প্রদায় গভীর শোকে ডুবে আছে। তাঁর অবদান ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানের জন্য অমূল্য হবে। তিনি কেবলমাত্র একজন দক্ষ বিজ্ঞানীই ছিলেন না, বরং একজন অনুপ্রেরণাদায়ক নেতাও ছিলেন, যার দৃষ্টিভঙ্গি এবং পরিশ্রম ইসরোকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। তাঁর অবদান ভারতীয় মহাকাশ কর্মসূচির ভিত্তি সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং এটি আগামী প্রজন্মের জন্য मार्गदर्शক হিসেবে রয়ে যাবে।

ভারত সরকার এবং ইসরো ডঃ কস্তুরীরঙ্গনের সেবাগুলি উচ্চ সম্মানে গ্রহণ করেছে এবং তাঁর কাজ সর্বদা স্মরণীয় হবে। ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান সর্বদা সম্মানিত হবে।

Leave a comment