ISRO ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনের ভ্যাকুয়াম ইগনিশন ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এই সাফল্য মহাকাশে ইঞ্জিন পুনরায় চালু করার প্রযুক্তিতে এক নতুন মাইলফলক স্থাপন করবে, যার ফলে মিশনের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
ISRO: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) আরেকটি বড় সাফল্য অর্জন করেছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫) ISRO ঘোষণা করেছে যে তারা ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনের ভ্যাকুয়াম ইগনিশন ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এই পরীক্ষা ভারতের মহাকাশ অভিযানে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
স্বদেশী CE-20 ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনের সফল পরীক্ষা
ISRO জানিয়েছে যে তারা LVM3-এর উপরের স্তরকে শক্তি সরবরাহকারী স্বদেশী CE-20 ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনের মাল্টি-এলিমেন্ট ইগ্নাইটার সহ সফলভাবে প্রজ্বলন পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। এই পরীক্ষা তামিলনাড়ুর মহেন্দ্রগিরিস্থিত ISRO প্রোপালশন কমপ্লেক্সে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়।
কেন এই পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ?
ভারতের উচ্চাকাঙ্ক্ষী গগনযান মিশনের জন্য এই পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মিশনের অধীনে ভারত প্রথমবারের মতো মহাকাশে মানুষ পাঠাবে।
মহাকাশে উড়ানের সময় ভ্যাকুয়াম পরিবেশে ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন পুনরায় চালু করা অত্যন্ত জটিল একটি প্রক্রিয়া। এই কারণে ISRO ঐতিহ্যগত কেন্দ্রীয় গ্যাস ব্যবস্থার পরিবর্তে 'বুটস্ট্র্যাপ মোড'-এ টার্বোপাম্প ব্যবহারের দিকে গবেষণা করছে ইঞ্জিন পুনরায় চালু করার জন্য।
পূর্বেও গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে
ISRO ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনের পুনরায় ইগনিশন ক্ষমতা বৃদ্ধির উপর ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছে। এর আগে, মাল্টি-এলিমেন্ট ইগ্নাইটার ব্যবহার করে ভ্যাকুয়াম চেম্বারের বাইরে ভূ-পৃষ্ঠের পরিবেশে ইঞ্জিনের ইগনিশন পরীক্ষা করা হয়েছিল।
গগনযান মিশনের জন্য বড় পদক্ষেপ
ISRO-এর মতে, CE-20 ইঞ্জিন ইতিমধ্যেই ১৯-২২ টন থ্রাস্ট স্তরে কাজ করার জন্য সক্ষম। এই ইঞ্জিন ইতিমধ্যেই একক ইগনিশন সহ উড়ানে ব্যবহৃত হয়েছে এবং এখন গগনযান মিশনের জন্যও উপযুক্ত বলে বিবেচিত হচ্ছে।