ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও ইরান তিনবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যাতে ছয়জন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। এই হামলাকে আমেরিকা ও ইসরায়েলের প্রতি শক্তির বার্তা বলে মনে করা হচ্ছে।
Israel Iran War: ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান ১২ দিনের যুদ্ধের পর যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঘোষণা আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সম্ভব হয়েছে। কিন্তু তারপরও ইরানের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রয়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মতে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও ইরান এক ঘণ্টার মধ্যে তিনবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যাতে ছয়জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
ইরানের অবস্থান কেন আগ্রাসী?
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরঘচি এই হামলার বিষয়ে বলেছেন যে, ইরানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনী শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ইসরায়েলকে তার হামলার প্রতিশোধ দিয়ে যাবে। তার মতে, এই হামলা একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত যে ইরান কারও চাপে যুদ্ধবিরতি মেনে নেবে না, বিশেষ করে যখন তা তৃতীয় কোনো দেশের মধ্যস্থতায় জোরপূর্বক চাপিয়ে দেওয়া হয়।
তেল আবিবে সায়রেন
হামলার পর তেল আবিবসহ অনেক শহরে সায়রেন বাজতে শুরু করে। ইসরায়েলি নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পাঠানো হয়। এতে প্রশ্ন উঠছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকা অবস্থায় কেন হামলা চালানো হচ্ছে? আবার যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়বে কি?
যুদ্ধে এ পর্যন্ত ইরানের ব্যাপক ক্ষতি
১৩ জুন থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধে ইরান এ পর্যন্ত অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমেরিকা ইসরায়েলের সমর্থনে ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক কেন্দ্র - ফোর্ডো, নাতানজ ও ইসফাহানে বঙ্কার বাস্টার বোমা নিক্ষেপ করেছে। এছাড়াও ইরানের রেভলুশনারি গার্ডসের প্রধান হুসেইন সালামি সহ অনেক সামরিক কমান্ডার ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। মোটামুটি ১০০০ ইরানি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।
আমেরিকার ইসরায়েলের প্রতি স্পষ্ট সমর্থন
এই সংঘাতে আমেরিকা শুরু থেকেই ইসরায়েলের সমর্থন করেছে। আমেরিকার হামলা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাকে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এই পরিস্থিতিতে ইরান সম্পূর্ণ একা হয়ে পড়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের কোনও দেশই খোলাখুলিভাবে তার পাশে দাঁড়ায়নি। রাশিয়া ও চীন শুধুমাত্র নৈতিক সমর্থন দিয়েছে, কিন্তু সামরিক সহায়তা দেয়নি।