ট্রাম্প প্রশাসনের ২.২ বিলিয়ন ডলারের তহবিল বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় বোস্টন আদালতে মামলা দায়ের করেছে, তাকে অসাংবিধানিক বলে অভিহিত করে।
Harvard University: আমেরিকার (USA) খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় (Harvard University) বোস্টন ফেডারেল আদালতে আমেরিকার সরকারের বিরুদ্ধে মামলা (case) দায়ের করেছে। কারণ হলো— ট্রাম্প প্রশাসন দ্বারা ২.২ বিলিয়ন আমেরিকান ডলারের অধিক অনুদান (funding) হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া। হার্ভার্ডের দাবি, সরকারের এই পদক্ষেপ কেবল অসাংবিধানিক (Unconstitutional) নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন এবং শিক্ষার স্বাধীনতার উপর সরাসরি আক্রমণ।
ট্রাম্প প্রশাসনের দাবিগুলি প্রত্যাখ্যানের পর এই পদক্ষেপ
১১ এপ্রিল ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডকে একটি চিঠি পাঠিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি নীতি (admission policies), ছাত্র ক্লাব (student clubs) এবং ক্যাম্পাস নেতৃত্ব (campus leadership)-এ ব্যাপক পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছিল। এছাড়াও বলা হয়েছিল যে বিশ্ববিদ্যালয়কে বৈচিত্র্য পরীক্ষা (diversity audit) করতে হবে। হার্ভার্ড স্পষ্টভাবে এই দাবিগুলি প্রত্যাখ্যান করেছে, এবং তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সরকার তাদের তহবিল বন্ধ করে দিয়েছে।
হার্ভার্ড: আমরা নতি স্বীকার করব না, সংবিধান ও স্বাধীনতার রক্ষা করব
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ (President) অ্যালান গার্বার স্পষ্ট করে বলেছেন যে তারা সরকারের চাপের নীতির কাছে নতি স্বীকার করবে না। তাঁর মতে, এই সিদ্ধান্ত কেবল শিক্ষাগত স্বাধীনতা (academic freedom) কে ক্ষতিগ্রস্ত করে না, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যবোধের বিরুদ্ধেও।
ইহুদিবিরোধী টাস্ক ফোর্স নিয়ে বিতর্কও বড় কারণ
এই ঘটনার পিছনে আরও একটি বড় বিতর্ক জড়িত। ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ, হার্ভার্ড হোয়াইট হাউসের ইহুদিবিরোধী বিরোধী কার্য্যবাহী দল (Task Force)-এর সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ চিঠিকে উপেক্ষা করেছে। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা (senior officials) বলেছেন যে হার্ভার্ডের আইনজীবীরা ইচ্ছাকৃতভাবে যোগাযোগ করেনি, যার ফলে সরকার এখন কঠোর অবস্থান নিয়েছে।