আমেরিকার আক্রমণ: পাকিস্তানে জরুরি এনএসসি বৈঠক

আমেরিকার আক্রমণ: পাকিস্তানে জরুরি এনএসসি বৈঠক
সর্বশেষ আপডেট: 1 দিন আগে

আমেরিকার আক্রমণের পর পাকিস্তানের উদ্বেগ প্রকাশ। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জরুরি এনএসসি বৈঠক ডেকেছেন। সেনাপ্রধান আসিম মুনিরও উপস্থিত থাকবেন।

পাকিস্তানের বৈঠক: মধ্যপ্রাচ্যের দ্রুত পরিবর্তিত পরিস্থিতি পাকিস্তানের উদ্বেগ বৃদ্ধি করেছে। আমেরিকার ইরানে হামলার পর পাকিস্তান জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি)র জরুরি বৈঠক ডেকেছে। এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং এতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আসিম মুনিরও অংশগ্রহণ করবেন।

তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে আমেরিকার আক্রমণ

গত কয়েকদিন ধরে আমেরিকা ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রকে লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়েছে। এতে কেবলমাত্র আঞ্চলিক অস্থিরতার আশঙ্কা বেড়েছে তাই নয়, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইরানের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান সরাসরি এই অস্থিরতার প্রভাব অনুভব করতে পারে।

এনএসসি বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে পাকিস্তানি গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে যে, এনএসসি-র এই বৈঠক সোমবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সাথে সেনাপ্রধান আসিম মুনিরও উপস্থিত থাকবেন। মুনির সম্প্রতি আমেরিকা সফর থেকে ফিরেছেন, যেখানে তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দেখা করেছিলেন। তিনি এই বৈঠকে তার সফর এবং ট্রাম্পের সাথে হওয়া আলোচনার তথ্য ভাগ করে নেবেন।

ট্রাম্পের সাথে দেখা করার পর আমেরিকার আক্রমণ

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান গত সপ্তাহে আমেরিকায় ট্রাম্পের সাথে দেখা করেছিলেন। এই দেখা করার মধ্যে দুপুরের খাবারও ছিল। তবে, এই দেখা করার কয়েকদিন পরেই আমেরিকা ইরানে আক্রমণ করেছে। এতে পাকিস্তানের উদ্বেগ আরও গভীর হয়েছে।

শাহবাজ শরিফের ক্ষোভ ও ঐক্য প্রকাশ

প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ইরানের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসির সাথে টেলিফোনে কথা বলে আমেরিকার আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে আক্রমণ আন্তর্জাতিক আইন এবং আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-এর নিয়মের গুরুতর লঙ্ঘন। শাহবাজ শরিফ ইরানের জনগণ ও সরকারের প্রতি ঐক্য প্রকাশ করেছেন এবং প্রাণহানির প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

সরকারি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কী বলা হয়েছে

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃক জারি করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, পাকিস্তান ইরানের পাশে আছে এবং অঞ্চলে শান্তি ও স্থায়িত্বের পক্ষে। প্রধানমন্ত্রী এটাও স্পষ্ট করেছেন যে, আমেরিকার এই পদক্ষেপ অসতর্কতাপূর্ণ এবং এতে আঞ্চলিক সংঘাত বৃদ্ধি পেতে পারে।

নোবেল পুরষ্কারের দাবিতে প্রশ্ন উঠেছে

বিশেষত, সম্প্রতি পাকিস্তান ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়নের কথা বলেছিল। ট্রাম্প ও মুনিরের দেখা করার পর এই প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু এখন, আমেরিকা ইরানে আক্রমণ করার পর, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে পাকিস্তানেও সমালোচনা হচ্ছে।

লোকেরা প্রশ্ন করছে যে, যুদ্ধ উস্কে দেওয়া ব্যক্তিকে কীভাবে নোবেল শান্তি পুরষ্কার দেওয়া যেতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং স্থানীয় গণমাধ্যমে সরকারের এই নীতির সমালোচনা হচ্ছে এবং দাবি করা হচ্ছে যে, পাকিস্তান এই সিদ্ধান্তের উপর পুনর্বিবেচনা করুক।

Leave a comment