জয়পুরের সাঙ্গানেরে অসামাজিক দুষ্কৃতীদের দ্বারা বীর তেজাজী মন্দিরের মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষোভ করেছে, পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, প্রশাসন অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করেছে।
জয়পুরের তেজাজী মন্দির: রাজধানী জয়পুরের সাঙ্গানের অঞ্চলের প্রতাপ নগর এলাকায় শুক্রবার রাতে অসামাজিক দুষ্কৃতীরা বীর তেজাজী মন্দিরের মূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করার ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয়রা ও ভক্তরা ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং শনিবার সকালে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেছে।
ভক্ত ও হিন্দু সংগঠনের প্রতিবাদ
শনিবার সকালে বহুসংখ্যক স্থানীয় লোক, ভক্ত ও হিন্দু সংগঠনের কর্মীরা রাস্তায় নেমে আসে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) ও বজরঙ্গ দলের কর্মীরাও ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে। ক্ষুব্ধ জনতা টোঙ্ক রোডে অবরোধ করে এবং প্রশাসনের কাছে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়।
নেতারা বিচার বিচারের দাবি জানিয়েছেন
বিক্ষোভের সময় সাংসদ হনুমান বেনিওয়াল, বিধায়ক বিকাশ চৌধুরী ও রামনিওয়াস গাওয়ারিয়াও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তারা ঘটনার নিন্দা করে এটিকে ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করার ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেন এবং ঘটনার বিচার বিচারের দাবি জানান। নেতারা প্রশাসনের উপর অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের চাপ সৃষ্টি করেন।
পুলিশ তদন্ত ও নিরাপত্তার কঠোর ব্যবস্থা
ঘটনাস্থলে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতাপ নগর থানার পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন। পুলিশ মন্দিরে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু করেছে এবং কিছু সন্দেহজনক কার্যকলাপের ইঙ্গিত পাওয়ার কথা জানিয়েছে। কর্মকর্তারা আশ্বাস দিয়েছেন যে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।
বর্ধিত প্রতিবাদের জেরে প্রশাসন সতর্ক
এই ঘটনার প্রতিবাদে সাঙ্গানের ও প্রতাপ নগর এলাকার অনেক বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সংগঠনগুলো ঘটনার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশাসনের কাছে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে, পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা মানুষকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানাচ্ছেন এবং টোঙ্ক রোডে অবরোধ অপসারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন।