হিমাচলে রাজনৈতিক সংকট। পশুপালনমন্ত্রী চন্দ্র কুমারের পদত্যাগের আলোচনা তীব্র। পুত্র নীরজ ভারতী কংগ্রেস সরকারের উপর দালালদের মাধ্যমে কাজ করানোর অভিযোগ এনেছেন। পরিস্থিতি এখনও স্পষ্ট নয়।
Himachal: হিমাচল প্রদেশের রাজনীতিতে এখন উত্তাল পরিস্থিতি। মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু-র নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারকে আবারও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। রাজ্যের পশুপালনমন্ত্রী ও জ্যেষ্ঠ নেতা চৌধুরী চন্দ্র কুমারের পদত্যাগের আলোচনা তীব্র গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে। এই সম্পূর্ণ ঘটনার সূত্রপাত তাঁর পুত্র ও প্রাক্তন বিধায়ক নীরজ ভারতীর একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকে।
নীরজ ভারতীর বড় দাবি
প্রাক্তন বিধায়ক নীরজ ভারতী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করেছেন যে তাঁর পিতা ও মন্ত্রী চন্দ্র কুমার শীঘ্রই তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে কংগ্রেস সরকারে কাজ করার জন্য দালালদের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হয়, যা গণতন্ত্র ও সুশাসনের মূলমন্ত্রের বিরুদ্ধে। তিনি আরও বলেছেন যে যেখানে দালালদের মাধ্যমে কাজ করতে হয়, সেখানে মন্ত্রী থাকার কোনো অর্থ নেই।
পরে এলো পাল্টা বক্তব্য
যদিও একই সন্ধ্যায় নীরজ ভারতী আরেকটি পোস্ট করে জানিয়েছেন যে চন্দ্র কুমারকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে এবং এখন তিনি মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর সাথে দেখা করে এই বিষয়ে কথা বলবেন। এই পোস্ট থেকে স্পষ্ট যে বিষয়টি এখনও সম্পূর্ণ স্পষ্ট নয় এবং মন্ত্রীর পদত্যাগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর সাথে আলোচনার পরেই নেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ছিলেন চন্দ্র কুমার
এই সম্পূর্ণ বিতর্কের মধ্যে একটি আকর্ষণীয় বিষয় হল, যেদিন এই পোস্ট প্রকাশিত হয়, সেদিনই চন্দ্র কুমার মুখ্যমন্ত্রী সুখুর সাথে শিমলার শিলাই ও ঠিয়োগে বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছিলেন। এতে ইঙ্গিত মিলছে যে মন্ত্রী তাঁর দায়িত্ব পালন করছিলেন এবং পদত্যাগের পরিস্থিতি তখন তাৎক্ষণিকভাবে দেখা যাচ্ছিল না।
আগেও সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন
এই প্রথম নয় যখন চন্দ্র কুমার কংগ্রেস সংগঠন বা সরকারের উপর প্রশ্ন তুলেছেন। কিছুদিন আগে যখন রাজ্যে দলের পুনর্গঠন হচ্ছিল না, তখন তিনি সর্বজনীনভাবে বলেছিলেন যে কংগ্রেস হিমাচলে "প্যারালাইজড" হয়ে গেছে। তাঁর এই বক্তব্য কংগ্রেস নেতৃত্বের জন্য অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছিল।
চন্দ্র কুমার কে?
চৌধুরী চন্দ্র কুমার হিমাচল প্রদেশের রাজনীতির একজন অভিজ্ঞ ও জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব। তিনি বর্তমানে জওয়ালি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক। তিনি এখন পর্যন্ত নয় বার নির্বাচন লড়েছেন, যার মধ্যে ছয় বার জয়ী হয়ে বিধানসভায় প্রবেশ করেছেন। তদুপরি তিনি একবার লোকসভা সদস্যও ছিলেন। বর্তমানে তিনি মুখ্যমন্ত্রী সুখুর মন্ত্রিসভার সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী এবং পশুপালন বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন।