বিজেপি ১৯ এপ্রিল থেকে ওয়াক্ফ সংস্কার জনসচেতনতা অভিযান শুরু করবে, যার উদ্দেশ্য নতুন ওয়াক্ফ আইনের সুবিধা পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। এর জন্য একটি চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
লখনউ – বিজেপি উত্তরপ্রদেশে ওয়াক্ফ আইন সংস্কার নিয়ে একটি বৃহৎ জনসচেতনতা অভিযান শুরু করতে চলেছে। ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হতে চলা এই অভিযানের উদ্দেশ্য হল ওয়াক্ফ আইন সংক্রান্ত ভুল ধারণা দূর করা এবং এর সুবিধা বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
সংখ্যালঘুদের সাথে আলাপচারিতার মাধ্যমে ধারণা পরিবর্তন
ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) ফোকাস এবার মুসলিম সম্প্রদায়ের আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণী—পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের—উপর। দলের নেতৃত্ব মনে করেন, এখন পর্যন্ত ওয়াক্ফ সম্পত্তির সুবিধা কেবলমাত্র কিছু প্রভাবশালী ৫% লোকই উপভোগ করছিল, যখন নতুন আইনের অধীনে এখন এই সম্পত্তির ব্যবহার সকল ধর্মের গরিবদের জন্য হাসপাতাল, স্কুল এবং আবাসন যেমন সুবিধা উন্নত করতে ব্যবহার করা হবে।
অভিযানের নেতৃত্ব দেবেন শীর্ষ নেতারা
এই অভিযান সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য একটি চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছেন ত্রয়ম্বক ত্রিপাঠী, শিব ভূষণ সিং, কুঞ্জর বাসিত আলী এবং অখিলেশ কুমার। ১৯ এপ্রিল লখনউয়ের ইন্দিরা গান্ধী প্রতিষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের উপস্থিতিতে একটি রাজ্য-স্তরীয় কর্মশালা দিয়ে এই অভিযানের সূচনা হবে।
কর্মশালায় বিজেপির ব্যক্তিত্বপূর্ণ নেতারা, জাতীয় সহ-সমন্বয়ক রাধামোহন দাস আগরওয়াল, রাজ্য সভাপতি ভূপেন্দ্র চৌধুরী এবং সংগঠন মহাসচিব ধর্মপাল সিং উপস্থিত থাকবেন।
ওয়াক্ফ আইন সংস্কার নিয়ে ছাপা হবে পামফলেট
এই অভিযানের জন্য বিশেষভাবে ব্রোশার এবং ডিজিটাল সফট কপি তৈরি করা হয়েছে যা কর্মীরা মানুষকে মোবাইলের মাধ্যমে পাঠাবে। এই উপকরণগুলিতে ওয়াক্ফ আইনের প্রযুক্তিগত সুবিধা এবং ব্যবহারিক প্রভাব সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করা হবে।
বিরোধের মোকাবেলায় ‘জনসংযোগ’
ওয়াক্ফ আইন নিয়ে মুসলিম সংগঠন ও বিরোধী দলের সমালোচনার পর বিজেপি এখন সাধারণ জনগণের সাথে সরাসরি যোগাযোগের কৌশল অবলম্বন করেছে। দল মনে করে, CAA-NRC এর মতো বিষয়গুলির ক্ষেত্রে যদি সময়মতো সঠিক তথ্য না দেওয়া হয় তাহলে ভুল বোঝাবুঝি আরও গভীর হতে পারে। তাই সংখ্যালঘু মোর্চাকে সামনে রেখে দল এই বিরোধকে স্থানীয় স্তরে দুর্বল করার কৌশলে কাজ করছে।