বিহার নির্বাচন: আসন বণ্টন নিয়ে আরজেডি-জেএমএম-এর মধ্যে উত্তেজনা

বিহার নির্বাচন: আসন বণ্টন নিয়ে আরজেডি-জেএমএম-এর মধ্যে উত্তেজনা
সর্বশেষ আপডেট: 17-06-2025

বিহার নির্বাচনের আগে আরজেডি ও জেএমএম-এর মধ্যে আসন বণ্টন নিয়ে বিরোধ বাড়ছে। জেএমএম সীমান্তবর্তী এলাকায় ১২টি আসনের দাবী করছে, আর আরজেডি নমনীয় হতে রাজি নয়।

Bihar Election: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি তীব্র হয়ে উঠেছে এবং এর সাথে সাথে মহাজোটের মধ্যে আসন বণ্টন নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিতে শুরু করেছে। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-এর মধ্যে আসন বণ্টন নিয়ে উত্তেজনা বেড়েছে। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা বিহারে ১২টি আসনের দাবী করছে, বিশেষ করে সেসব এলাকায় যা ঝাড়খণ্ডের সীমান্তবর্তী এলাকায় পড়ে। অন্যদিকে, আরজেডি এই দাবী নিয়ে স্বচ্ছন্দ নয় এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার রাজনৈতিক শক্তির প্রতি আশ্বস্ত নয়।

জেএমএম-এর দাবী: সীমান্তবর্তী এলাকায় অংশীদারিত্ব

ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে শক্তিশালী ভিত্তি রাখা জেএমএম-এর দাবি, বিহারের কিছু সীমান্তবর্তী এলাকায় তাদের জনসমর্থন রয়েছে এবং সেখানে তাদের শক্তিশালী রাজনৈতিক উপস্থিতি রয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক বিনোদ পান্ডে স্পষ্ট করে বলেছেন যে, জেএমএম জাতীয় পর্যায়ে মহাজোটের অংশ, তাই বিহারে তাদের কর্মীদের অনুভূতি এবং সংগঠনের উপস্থিতিকে উপেক্ষা করা যাবে না। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা যে ১২টি আসনের দাবী করেছে, সেগুলি বেশিরভাগই সাঁথাল পরগণা সীমান্তের সাথে সংলগ্ন বিহারের বিধানসভা কেন্দ্র, যেখানে জেএমএম দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়।

আরজেডি-এর অবস্থান: জেএমএম-এর দাবী থেকে দূরত্ব

অন্যদিকে, আরজেডি-এর অবস্থান তেমন সহযোগী নয়। দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি যে জেএমএম বিহারে কোনও প্রধান রাজনৈতিক শক্তি। আরজেডি নেতাদের দাবি, জেএমএম যদি বিহারে নির্বাচন করতে চায়, তাহলে তাদের কতগুলি আসন পাবে তা তাদের প্রভাব ও অবদানের উপর নির্ভর করবে। এই বক্তব্য জেএমএম-কে বিরক্ত করতে পারে কারণ তারা নিজেদের মহাজোটের সম্মানিত অংশ মনে করে।

মহাজোট টিকিয়ে রাখার চেষ্টা অব্যাহত

তবে এই মতবিরোধ সত্ত্বেও দুটি দলের মধ্যে মহাজোট টিকিয়ে রাখার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। জেএমএম-এর বর্ষীয় নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যে তারা আরজেডি-এর শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে বৈঠক করে আসন নিয়ে সমঝোতা করবে। এই আলোচনায় হেমন্ত সোরেনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। হেমন্ত ও তেজস্বীর ব্যক্তিগত সম্পর্ক শক্তিশালী, যা এই রাজনৈতিক ফাঁক পূরণে সহায়ক হতে পারে।

হেমন্ত-তেজস্বীর বন্ধুত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে

রাজনৈতিক মহলে এখন আলোচনা শুরু হয়েছে যে, হেমন্ত সোরেন এবং তেজস্বী যাদবের ‘মহাজোটের বন্ধুত্ব’ কি আসন বণ্টন নিয়ে বিরোধে টিকে থাকবে? দুই নেতা একাধিকবার একই মঞ্চ ভাগ করে নিয়েছেন এবং বিরোধী ঐক্যের ছবি তুলে ধরেছেন, কিন্তু যখন জমিতে রাজনৈতিক বাস্তবতার কথা আসে, তখন পরিস্থিতি ভিন্ন দেখা যায়। যদি আসন নিয়ে সমঝোতা না হয়, তাহলে এই বন্ধুত্ব শুধুমাত্র বক্তৃতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে পারে।

Leave a comment