মহাকাশে শুভansu: ভারতের মহাকাশযাত্রার নতুন দিগন্ত

মহাকাশে শুভansu: ভারতের মহাকাশযাত্রার নতুন দিগন্ত
সর্বশেষ আপডেট: 4 ঘণ্টা আগে

ভারত আজ আবারও अंतरिक्षের ইতিহাসে নতুন মাইলফলক তৈরি করেছে। ভারতীয় মহাকাশযাত্রী শুভansu शुक्ला আজ সকালে স্পেসক্রাফটযোগে अंतरिक्षের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন। এটি ১৯৮৪ সালের পর প্রথম যখন কোনো ভারতীয় মহাকাশে পাড়ি দিয়েছেন।

ভারত মহাকাশযাত্রার ইতিহাসে এক নতুন গৌরবপূর্ণ অধ্যায় যুক্ত হয়েছে। ভারতীয় মহাকাশযাত্রী শুভansu शुक्ला আজ अंतरिक्षের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন। এটি ১৯৮৪ সালের পর প্রথম যখন কোনো ভারতীয় নাগরিক মহাকাশে যাচ্ছেন। শুভansu शुक्ला আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (International Space Station) পৌঁছানোর প্রথম ভারতীয় হবেন এবং এই মিশন দেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।

শুভansu शुक्লার ঐতিহাসিক যাত্রা

শুভansu शुक्ला আমেরিকা ভিত্তিক একটি বেসরকারি স্পেস কোম্পানির, এক্সিওম মিশন চার (ExoMission-4) এর অধীনে স্পেসের জন্য যাত্রা করেছেন। এই মিশনটি ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এই মিশনে ভারত ছাড়াও আমেরিকা, পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির মহাকাশযাত্রীরাও অংশ নিচ্ছেন। শুভansuকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়ার জন্য ড্রাগন স্পেসক্রাফট ব্যবহার করা হয়েছে, যা স্পেসএক্স (SpaceX) দ্বারা তৈরি।

শুভলার এই সফরকে ভারতের মহাকাশ শক্তির পুনর্গঠনের সূচনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ১৯৮৪ সালে রakesh শর্মা রাশিয়ান মহাকাশযান থেকে মহাকাশে যাওয়ার পর ভারত প্রথমবার মহাকাশে একজন নাগরিকের উপস্থিতি दर्ज করে। এরপর চার দশকের পর আবারও ভারতের পতাকা মহাকাশে ওড়ে।

একটি স্পেস স্যুট তৈরিতে কত খরচ হয়

মহাকাশে যাওয়া একটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং কাজ, তাই এর জন্য যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়া হয়। মহাকাশযাত্রীদের সুরক্ষার জন্য বিশেষ ধরনের স্যুট তৈরি করা হয়, যা স্পেস স্যুট নামে পরিচিত। এই স্যুটগুলির দাম কয়েক কোটি টাকা হয়ে থাকে। আমেরিকার মহাকাশ সংস্থা নাসা (NASA) এর স্পেস স্যুটগুলির দাম সাধারণত দশ মিলিয়ন ডলার থেকে দুই মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত হয়, যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় আটচল্লিশ থেকে নব্বই কোটি টাকার মধ্যে ধরা হয়।

নতুন প্রযুক্তিতে তৈরি স্যুটগুলির দাম আরও বেশি হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, নাসা তৈরি করছে নতুন xEMU স্যুট, যার দাম প্রায় এক বিলিয়ন টাকা, অর্থাৎ প্রায় আট হাজার তিনশত পঁচিশ পাঁচটি কোটি টাকা। এই স্যুটটিতে অত্যাধুনিক সুরক্ষা ব্যবস্থা, জীবন রক্ষাকারী প্রযুক্তি এবং কম্পিউটিং ক্ষমতা রয়েছে।

স্পেস স্যুট এর বৈশিষ্ট্য

একটি স্পেস স্যুট অনেকটা চলমান ছোট মহাকাশযানের মতো। এটি একজন মানুষেরকে মহাকাশের কঠিন পরিস্থিতিতে বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু সরবরাহ করে।

এই স্যুট মহাকাশে চরম গরম ও ঠান্ডা তাপমাত্রায় মহাকাশযাত্রীকে সুরক্ষিত রাখে। মহাকাশে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে প্রায় বিশ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে। এই পরিবেশে শরীরকে রক্ষা করা কঠিন, এবং এই কাজটি স্পেস স্যুট করে।

এছাড়াও, এই স্যুট রেডিয়েশন, ছোট পাথরের মতো মহাকাশীয় বস্তু এবং অন্যান্য বিপদ থেকে মহাকাশযাত্রীকে রক্ষা করে। এতে অক্সিজেনের সরবরাহ, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারণ, বাতাসের চাপ নিয়ন্ত্রণ, রেডিও যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং জরুরি জীবন সহায়তা ব্যবস্থা রয়েছে।

স্পেস স্যুট-এ কী কী সুবিধা রয়েছে

স্পেস স্যুট-এর ভিতরে সীমিত পরিমাণে অক্সিজেন থাকে, যা মহাকাশযাত্রীকে কয়েক ঘণ্টা শ্বাস নিতে সাহায্য করে। এছাড়াও, স্যুটটিতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি বায়ুচলাচল ব্যবস্থা রয়েছে।

এখানে জল পান করার ব্যবস্থা, মলত্যাগের জন্য ইনবিল্ট টয়লেট এবং ইলেকট্রনিক সিস্টেমও রয়েছে। শুধু তাই নয়, স্পেস স্যুট-এ মাইক্রোপ্রসেসর ভিত্তিক কম্পিউটার থাকে, যা মিশনের ডেটা পর্যবেক্ষণ করে।

কেন স্পেস স্যুট এত ব্যয়বহুল

স্পেস স্যুট তৈরিতে ব্যবহৃত উপকরণগুলো বিশেষভাবে তৈরি করা হয়। এগুলোকে বিভিন্ন স্তরে তৈরি করা হয়, যেখানে প্রতিটি স্তরে সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করা হয়। এই স্যুটগুলোকে মহাকাশের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে পরীক্ষা করা হয়।

এছাড়াও, এর নির্মাণে উচ্চ স্তরের গবেষণা, উন্নয়ন, পরীক্ষা এবং বিশেষজ্ঞদের প্রচেষ্টা যুক্ত থাকে। তাই একটি স্পেস স্যুট তৈরি করতে একটি বিলাসবহুল গাড়ি বা ছোট বিমানের চেয়েও বেশি খরচ হয়।

এই মিশনের ভারত ও জন্য তাৎপর্য

শুভansu शुक्লার মহাকাশযাত্রা ভারতের মহাকাশ সক্ষমতাকে নতুন পরিচয় দেবে। এই মিশনটি শুধু বিজ্ঞানীয় দিক থেকেই নয়, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং ভারতীয় যুবকদের আত্মবিশ্বাসের দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। এটি ভারতীয় যুবকদের অনুপ্রাণিত করবে যে তারা বিশ্বব্যাপী মহাকাশ অভিযানে অংশ নিতে পারে।

এই মিশন মহাকাশ গবেষণায় ভারতের অংশগ্রহণকে আরও শক্তিশালী করবে। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে এবং ভারতীয় বেসরকারি মহাকাশ কোম্পানিগুলোও নতুন পথে এগিয়ে যাবে।

Leave a comment