দিল্লির সাাকেত কোর্টে হাজিরার সময় দুই দলের মধ্যে হিংস্র সংঘর্ষ হয়েছে। একজন কয়েদী অমনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রমণের কারণ পুরোনো শত্রুতা। এই ঘটনায় কোর্টের নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে।
Delhi Saket Court: দিল্লির সাাকেত কোর্টের লকআপে ৫ই জুন ২০২৫ সালে দুই কয়েদীর মধ্যে পুরোনো শত্রুতার জেরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়, যাতে একজন কয়েদীর মৃত্যু হয়। নিহতের পরিচয় গোবিন্দপুরী निবাসী অমন হিসেবে পাওয়া গেছে। এই ঘটনা কোর্ট ও জেল परिसরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলে ধরেছে।
সাাকেত কোর্ট লকআপে সংঘর্ষ, এক কয়েদীর মৃত্যু
দিল্লির সাাকেত কোর্টে মঙ্গলবার হাজিরার জন্য আনা দুই কয়েদীর মধ্যে তীব্র মারপিট হয়। এই সংঘর্ষ কোর্ট परिसরের ভিতরে থাকা লকআপে (খারিজা নং 5) ঘটে। এই হিংস্র সংঘর্ষে এক বন্দীর মৃত্যু হয়, যার ফলে কোর্ট परिसরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি তখন ঘটে যখন অনেক কয়েদী হাজিরার জন্য কোর্টে আনা হয়েছিল এবং তাদের লকআপে রাখা হয়েছিল। একই সময়ে দুই দলের মধ্যে পুরোনো বিরোধের জেরে ঝগড়া শুরু হয়, যা এক ক্ষণের মধ্যেই প্রাণঘাতী আক্রমণে রূপ নেয়।
নিহত কয়েদীর পরিচয় ও মামলা
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত কয়েদীর নাম অমন পুত্র ধর্মেন্দ্র (বয়স ২৪ বছর), যিনি দক্ষিণ দিল্লির গোবিন্দপুরী এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। অমনের বিরুদ্ধে ২০২৭ সালে ৩০৭/৩৪ ধারা আইপিসিতে ২৫০/২০১৭ নম্বর এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। তিনি একজন আন্ডার ট্রায়াল প্রিজনার (UTP) ছিলেন এবং বর্তমানে ন্যায়িক হেফাজতে ছিলেন। মারধরের পর অমনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আক্রমণকারী কয়েদীদের পরিচয়
পুলিশ তদন্তে জানা গেছে যে অমনের উপর আক্রমণ করেছিল আরও দুজন কয়েদী:
- জিতেন্দ্র ওরফে জিত্তে পুত্র জগদীশ
- জয়দেব ওরফে বাচ্চা পুত্র লাল চাঁদ
এই দুই আক্রমণকারীর সাথে অমনের পুরোনো বিরোধ ছিল। বলা হচ্ছে, এই বিরোধের শুরু ২০২৪ সাল থেকে, যখন জেলের বাইরে থাকাকালীন অমন ও জিতেন্দ্রের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। সে সময় অমন জিতেন্দ্র ও তার ভাইয়ের উপর ছুরিকাঘাত করেছিল।
এই পুরোনো বিরোধের জেরে মঙ্গলবার সাাকেত কোর্টের লকআপে জিতেন্দ্র ও জয়দেব মিলে অমনের উপর আক্রমণ করে এবং অভিযোগ মতে গলা টিপে তার হত্যা করে।
কোর্ট परिसরে আতঙ্ক
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে কোর্ট परिसরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে অবিলম্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী পাঠানো হয় এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও পরিস্থিতির ব্যাপারে জানতে আসেন।
লকআপটি অবিলম্বে খালি করা হয় এবং পুরো ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে তদন্ত শুরু করা হয়। ঘটনার পর হাজিরার জন্য আনা অন্যান্য কয়েদীদের নিরাপত্তার ব্যাপারেও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।