বাজেট ২০২৫: পারমাণবিক শক্তি খাতে ১০০০ কোটি টাকার বরাদ্দ

বাজেট ২০২৫: পারমাণবিক শক্তি খাতে ১০০০ কোটি টাকার বরাদ্দ
সর্বশেষ আপডেট: 01-02-2025

২০২৫ সালের বাজেটে মোদী সরকার পারমাণবিক শক্তি খাতে অগ্রগতি করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর লক্ষ্য মাথায় রেখে ১০০০ কোটি টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বাজেট ২০২৫: শূন্য কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্য অর্জনে ভারত ২০২৫ সালের সাধারণ বাজেটে পারমাণবিক শক্তির জন্য ১০০০ কোটি টাকার বিপুল বরাদ্দ দিয়েছে। এই পদক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উচ্চাকাঙ্ক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যিনি বারবার ভারতকে সবুজ শক্তির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বাজেটের এই অংশটি দেশে নতুন পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্র নির্মাণ এবং পুরানো শক্তি কেন্দ্রগুলির ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্যবহার করা হবে।

ভারতের বর্তমান পারমাণবিক শক্তি অবস্থা

ভারতে বর্তমানে পারমাণবিক শক্তি বিদ্যুতের পঞ্চম বৃহত্তম উৎস। দেশজুড়ে মোট ৭টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং ২২টিরও বেশি নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর কার্যকরী রয়েছে, যা মোট ৬৭৮০ মেগাওয়াট নিউক্লিয়ার শক্তি উৎপাদন করে। ২০২১ সালে কাকরাপার নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্রজেক্ট (KAPP-3) গ্রিডের সাথে যুক্ত হয়। ভারতের পারমাণবিক কর্মসূচীকে সমর্থন করার জন্য সরকার সরকারি উদ্যোগের সাথে যৌথ উদ্যোগকেও অনুমতি দিয়েছে।

নিউক্লিয়ার পাওয়ার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (NPCIL) এখন NTPC এবং IOCL-এর সাথে মিলে দুটি যৌথ উদ্যোগে কাজ করছে।

৫টি নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে

ভারত পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সম্প্রসারণের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ করেছে। এর অধীনে পাঁচটি নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হবে। এই পদক্ষেপ ভারতের পারমাণবিক প্রতিষ্ঠানের সম্প্রসারণের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা দেশের শক্তি সরবরাহে স্থায়িত্ব এবং বৃদ্ধির আশা করে।

ভারতের প্রথম স্বদেশী পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্র

ভারত এখন ইউরেনিয়াম-২৩৩ ব্যবহার করে বিশ্বের প্রথম থোরিয়াম ভিত্তিক নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট, "ভবনী", তামিলনাড়ুর কল্পাক্কামে স্থাপন করছে। এই প্ল্যান্ট সম্পূর্ণরূপে স্বদেশী হবে এবং এই ধরণের প্রথম প্ল্যান্ট হবে। এছাড়াও, কল্পাক্কামে ইতিমধ্যেই একটি পরীক্ষামূলক থোরিয়াম প্ল্যান্ট "কামিনী" রয়েছে, যা ভারতের পারমাণবিক শক্তি খাতে স্বদেশী প্রযুক্তির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

Leave a comment