১ ফেব্রুয়ারি: ভারতের কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৫ - ১০টি গুরুত্বপূর্ণ দিক

১ ফেব্রুয়ারি: ভারতের কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৫ - ১০টি গুরুত্বপূর্ণ দিক
সর্বশেষ আপডেট: 20-01-2025

কেন্দ্রীয় বাজেট ভারতীয় অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা সরকারি ব্যয় এবং জনসেবা পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। এই বছর ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট উপস্থাপন করা হবে। ১০ দিক থেকে জেনে নিন।

বাজেট ২০২৫: ভারতের অর্থনৈতিক নীতিগুলিকে গড়ে তোলার কেন্দ্রীয় বাজেট ১ ফেব্রুয়ারি উপস্থাপিত হবে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী निर्মলা সীতারমণ সংসদে এই বাজেট উপস্থাপন করবেন। এই বাজেট আগামী অর্থবর্ষের জন্য আনুমানিক আয় এবং ব্যয়ের রূপরেখা তুলে ধরে, যা সরকারের পরিকল্পনা এবং দেশের নাগরিকদের উপর প্রভাব ফেলে।

বাজেটের সময়সীমা এবং প্রক্রিয়া

কেন্দ্রীয় বাজেট প্রতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি উপস্থাপিত হয়, যা আগামী অর্থবর্ষের সূচনা করে। এটি ১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে পরের বছর ৩১ মার্চ পর্যন্ত চলে। বাজেট সংসদের পটলে রাখা হয় এবং মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর অর্থমন্ত্রী তা উপস্থাপন করেন। নির্বাচনী বছরগুলিতে বাজেট দুটি অংশে উপস্থাপিত হয়: অন্তর্বর্তী বাজেট এবং সম্পূর্ণ বাজেট।

বাজেটের সময় কেন পরিবর্তন করা হলো?

১৯৯৮ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাজেট বিকেল ৫টায় উপস্থাপিত হতো। কিন্তু ১৯৯৯ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ীর সরকারের সময় বাজেট উপস্থাপনের সময় সকাল ১১টায় পরিবর্তন করা হয়। এই পরিবর্তনের পিছনে সরকারের ধারণা ছিল যে এই সময় আলোচনা এবং বাস্তবায়নের জন্য আরও ব্যবহারিক।

১ ফেব্রুয়ারি বাজেট উপস্থাপনের ঐতিহ্য

২০১৭-১৮ সাল থেকে কেন্দ্রীয় বাজেট ১ ফেব্রুয়ারি উপস্থাপনের ঐতিহ্য শুরু হয়। এর সাথে সাথে, রেলওয়ে বাজেট আলাদাভাবে উপস্থাপনের দশক প্রাচীন ঐতিহ্যের অবসান ঘটে।

বাজেটের উদ্দেশ্য এবং গঠন

কেন্দ্রীয় বাজেটের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি মন্ত্রণালয় এবং বিভাগে অর্থ বরাদ্দ করা হয়। এতে প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, অবকাঠামো এবং ভর্তুকি ইত্যাদি ক্ষেত্রের জন্য অর্থের ব্যবস্থা করা হয়। কেন্দ্রীয় বাজেট দুটি ভাগে বিভক্ত: রাজস্ব বাজেট এবং মূলধন বাজেট।

১. রাজস্ব বাজেটে সরকারের দৈনন্দিন ব্যয় যেমন পরিচালনা ব্যয়, বেতন, পেনশন এবং নিয়মিত সেবা সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়।
২. মূলধন বাজেটের উদ্দেশ্য দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগে কেন্দ্রীভূত, যেমন অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষাগত প্রকল্প এবং স্বাস্থ্যসেবা উদ্যোগ।

রাজস্ব ঘাটতি

যদি মূলধন ব্যয় রাজস্ব বাজেটের চেয়ে বেশি হয়, তবে রাজস্ব ঘাটতি তৈরি হয়। এটি দেশের আর্থিক অবস্থাকে প্রভাবিত করে এবং সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।

বাজেট প্রস্তুতি

বাজেট প্রস্তুতিতে বিভিন্ন সরকারি বিভাগ, বিশেষজ্ঞ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের সাথে ব্যাপক আলোচনা করা হয়। এই বৈঠকগুলিতে জাতীয় প্রয়োজন এবং অগ্রাধিকারের উপর বিবেচনা করা হয়, যাতে বাজেট দেশের বাস্তব অবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রস্তুত করা যায়।

বাজেটের প্রভাব

কেন্দ্রীয় বাজেট কেবল সরকারের ব্যয়ের হিসাব নয়, বরং দেশের অর্থনৈতিক নীতিগুলিকে আকার দেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এই বাজেট কেবল সরকারি ব্যয় এবং পরিকল্পনাকেই প্রভাবিত করে না, বরং দেশের সাধারণ নাগরিকদের উপরও প্রভাব ফেলে, যেমন কর ব্যবস্থা, জনকল্যাণ পরিকল্পনা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক।

এইভাবে, কেন্দ্রীয় বাজেট ভারতের সামগ্রিক অর্থনৈতিক দিক নির্ধারণ করে এবং আগামী অর্থবর্ষের জন্য পরিকল্পনার নকশা তৈরি করে।

Leave a comment