২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনের সময় বাংলাদেশে সংঘটিত হিংসায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ উঠেছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ১৪০০ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ: ২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত হিংসা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে এই ঘটনাগুলিকে "মানবতাবিরোধী অপরাধ" হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই প্রতিবেদনের মতে, হাসিনা প্রতিবাদীদের দমন করার জন্য নিরাপত্তা বাহিনী এবং নিজের দলের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, যার ফলে শত শত মানুষ নিহত এবং হাজার হাজার আহত হয়েছেন।
ছাত্র আন্দোলন ও হিংসার পটভূমি
২০২৪ সালে বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তনের বিরুদ্ধে ছাত্ররা ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু করে। এই প্রতিবাদ ধীরে ধীরে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়, যেখানে শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ পায়। প্রতিবাদের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যকলাপে অনেকের প্রাণহানি হয় এবং হাজার হাজার লোক আহত হয়।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনের মূল বিষয়াবলী
জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় (OHCHR)-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই ও আগস্ট ২০২৪-এর মধ্যে সংঘটিত প্রতিবাদে প্রায় ১৪০০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১২% শিশু। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিবাদকারীদের উপর অত্যধিক বল প্রয়োগ করেছে, যাতে লাইভ গুলি ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও, প্রতিবাদকারীদের গ্রেপ্তার, হেফাজতে নির্যাতন ও জোরপূর্বক নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
শেখ হাসিনার ভূমিকা
প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরাপত্তা বাহিনী এবং নিজের দলের কর্মীদের প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এটাও বলা হয়েছে যে, তিনি কর্মকর্তাদের প্রতিবাদকারীদের হত্যা এবং তাদের মৃতদেহ গোপন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই নির্দেশের ফলে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটেছে।