অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জিএসটি হারে সম্ভাব্য হ্রাসের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কর স্ল্যাব যুক্তিসঙ্গত করার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর হারে আরও হ্রাস আসতে পারে।
এফএম নির্মলা সীতারমণ: জিএসটি (GST) নিয়ে বড় সুযোগের আশা বেড়েছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে এ দিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ট্যাক্স স্ল্যাব যুক্তিসঙ্গত করার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর জিএসটি হারে আরও কাটোতি করা যেতে পারে। এই বক্তব্য এমন সময়ে এসেছে যখন জিএসটি নিয়ে গঠিত মন্ত্রীদের গোষ্ঠী (GoM) তাদের প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার কাছে পৌঁছে গেছে।
জিএসটি হারে আরও কাটোতি সম্ভব
নির্মলা সীতারমণ বলেছেন, ২০17 সালে রেভিনিউ নিউট্রাল রেট (RNR) ছিল ১৫.৮%, যা ২০২৩ সালে নেমে এসেছে ১১.৪%তে। এটি ইঙ্গিত করে যে ভবিষ্যতেও জিএসটি হারে হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থমন্ত্রী এটাও জানিয়েছেন যে, জিএসটি কাউন্সিল বড় পরিবর্তন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কাছে পৌঁছে গেছে।
জিএসটি সংস্কারের পুরো পর্যালোচনা করবেন অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, মন্ত্রীদের গোষ্ঠী (GoM) জিএসটি স্ল্যাব যুক্তিসঙ্গত করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে, কিন্তু তিনি নিজেও তাদের সুপারিশের পুরো পর্যালোচনা করবেন। তিনি বলেছেন, তাঁর লক্ষ্য করের হার সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখা এবং শিল্পের সাথে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সমাধান করা। এই পদক্ষেপে কেবল ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তাদেরই সুবিধা হবে না, সাধারণ ভোক্তারাও করের সুবিধা পেতে পারেন।
ব্যাংকগুলিতে সরকারের অংশীদারিত্ব কমাতে জোর
অনুষ্ঠানের সময় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকার জনসাধারণের খাতের ব্যাংক (PSBs) গুলিতে তাদের অংশীদারিত্ব কমাতে পরিকল্পনা করছে। সরকার চায় খুচরা বিনিয়োগকারীদের (Retail Investors) অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং খাতে প্রতিযোগিতা উন্নত হোক। এছাড়াও, তিনি নন-ব্যাংকিং ফিন্যান্স কোম্পানি (NBFCs) এবং মাইক্রো-ক্রেডিট খাত নিয়েও মতামত ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, আরবিআই (RBI) অত্যন্ত আগ্রাসী ঋণদানকারী কোম্পানিগুলির উপর কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে, যার ফলে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ভারতের শক্তিশালী অর্থনীতির উপর আস্থা
নির্মলা সীতারমণ ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতির উপর আস্থা প্রকাশ করে বলেছেন, ২০২১ সালের পর থেকে ভারত বিশ্বের দ্রুততম বৃদ্ধিমান প্রধান অর্থনীতি হিসেবে টিকে আছে। তিনি জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী ভারতের অর্থনৈতিক প্রভাব ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বাণিজ্যিক অংশীদারদের সাথে সম্পর্কও মজবুত হচ্ছে।
ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা
অর্থমন্ত্রী ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি (India-US Trade Deal) নিয়েও মতামত ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, দুটি দেশ পারস্পরিকভাবে উপকারী বাণিজ্য চুক্তির দিকে কাজ করছে। তিনি এটাও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ভবিষ্যতে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও উন্নত করার জন্য সরকার নীতিগত সংস্কারের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।