শেয়ার বাজারে ২% লাফ: ট্যারিফ ছাড়, শক্তিশালী টাকা, ও বাণিজ্য আলোচনার প্রভাব

শেয়ার বাজারে ২% লাফ: ট্যারিফ ছাড়, শক্তিশালী টাকা, ও বাণিজ্য আলোচনার প্রভাব
সর্বশেষ আপডেট: 11-04-2025

শুক্রবার শেয়ার বাজারে ২% লাফিয়ে উঠল। ট্যারিফে ছাড়, শক্তিশালী টাকা, সস্তা ক্রুড এবং ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য আলোচনায় বিনিয়োগকারীদের উৎসাহ বেড়েছে।

শেয়ার বাজার: ভারতীয় শেয়ার বাজারে শুক্রবার, ১১ই এপ্রিল, তীব্র উত্থান দেখা গেছে। মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই সেনসেক্স এবং নিফটি উভয় ইন্ডেক্সেই প্রায় ২% বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে বিনিয়োগকারীদের মুখে হাসি ফুটেছে। এই উত্থানের প্রধান কারণ হল আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক উত্তেজনায় অস্থায়ীভাবে স্বস্তি পাওয়া এবং অর্থনৈতিক সূচকগুলিতে উন্নতি।

সেনসেক্স-নিফটিতে জোরদার লাফ

বিএসই সেনসেক্স ১,৪৭২ পয়েন্ট লাফিয়ে ৭৫,৩১৯-এর উচ্চতম স্তরে পৌঁছেছে, অন্যদিকে এনএসই নিফটি ৪৭৫ পয়েন্ট বেড়ে ২২,৮৭৪-এ বন্ধ হয়েছে। এর ফলে ব্রডার মার্কেটেও উৎসাহ দেখা গেছে, যেখানে নিফটি মিডক্যাপ ইন্ডেক্স ১.৫% এবং স্মলক্যাপ ইন্ডেক্স ২% বৃদ্ধি পেয়েছে।

উত্থানের ৪টি প্রধান কারণ:

১. ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক ট্যারিফে ৯০ দিনের ছাড়

আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ৭৫টি দেশ, যার মধ্যে ভারতও রয়েছে, তাদের উপর প্রযোজ্য পারস্পরিক ট্যারিফ ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করার ঘোষণা করেছেন। এই সিদ্ধান্তে বিনিয়োগকারীরা স্বস্তি পেয়েছেন এবং বাজারে ক্রয়ের গতি ত্বরান্বিত হয়েছে। তবে এই সময়কালে ১০% একতরফা ট্যারিফ এখনও বলবৎ থাকবে।

২. চীনের বিরুদ্ধে আমেরিকার কঠোর অবস্থান

ট্রাম্প প্রশাসন চীনের উপর মোট ১৪৫% ট্যারিফ আরোপ করেছে, যার মধ্যে ১২৫% পারস্পরিক এবং ২০% অতিরিক্ত শুল্ক অন্তর্ভুক্ত। এই সিদ্ধান্ত চীন থেকে আমেরিকায় ফেন্টানিল সরবরাহ নিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রতিক্রিয়ায় চীন আমেরিকান পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞার প্রক্রিয়া শুরু করেছে, যেমন হলিউড চলচ্চিত্র মুক্তির ক্ষেত্রে কমিয়ে আনা।

৩. ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতি

ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা তীব্র হয়েছে। আমেরিকা এখন ভারত, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া-র মতো এশীয় দেশগুলির সাথে নতুন বাণিজ্য সমীকরণ স্থাপন করতে চায়। রিপোর্ট অনুসারে, ভারত অটোমোবাইলে আমেরিকার ট্যারিফ কমাতে কৃষি পণ্যে ছাড় চেয়েছে।

৪. শক্তিশালী টাকা এবং সস্তা ক্রুড তেলের দাম

ভারতীয় টাকা শুক্রবার ডলারের বিপরীতে ৪৫ পয়সা শক্তিশালী হয়ে ৮৫.৯৫৫-এ পৌঁছেছে। একই সাথে, কাঁচা তেলের দাম নেমে ৬৩.৪৬ ডলার প্রতি ব্যারেল হয়েছে। এই দুটি কারণ ভারতের চলতি হিসাব ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং বিদেশী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের (FIIs) জন্য বাজারকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।

Leave a comment