ট্রাম্পের প্রতিশোধমূলক শুল্ক: ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশের উপর কঠোর আমদানি শুল্ক

ট্রাম্পের প্রতিশোধমূলক শুল্ক: ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশের উপর কঠোর আমদানি শুল্ক
সর্বশেষ আপডেট: 05-03-2025

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সাম্প্রতিক ঘোষণায় ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশের উপর কঠোর আমদানি শুল্ক (ট্যারিফ) আরোপের ঘোষণা করেছেন। মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বক্তৃতা করে ট্রাম্প স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ২রা এপ্রিল থেকে ‘প্রতিশোধমূলক ট্যারিফ’ নীতি কার্যকর হবে।

ওয়াশিংটন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সাম্প্রতিক ঘোষণায় ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশের উপর কঠোর আমদানি শুল্ক (ট্যারিফ) আরোপের ঘোষণা করেছেন। মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বক্তৃতা করে ট্রাম্প স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ২রা এপ্রিল থেকে ‘প্রতিশোধমূলক ট্যারিফ’ নীতি কার্যকর হবে, যার অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঐসব দেশের উপর ঠিক ততটুকু ট্যারিফ আরোপ করবে যতটুকু তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর আরোপ করে। ভারত, চীন, মেক্সিকো এবং কানাডা এই নতুন নীতির সরাসরি প্রভাবের মধ্যে পড়বে।

ভারতকে আঘাত, ১০০% ট্যারিফের জবাব দেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

তার বক্তৃতায় ট্রাম্প বলেছেন, "ভারত আমাদের পণ্যের উপর ১০০% পর্যন্ত আমদানি শুল্ক আরোপ করে, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তুলনামূলকভাবে অনেক কম শুল্ক আদায় করে। এখন আমরাও ভারতসহ অন্যান্য দেশের উপর একই ট্যারিফ আরোপ করব।" তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর্থিকভাবে আরও শক্তিশালী হয়েছে এবং সে কোনও দেশের অন্যায় বাণিজ্য নীতি সহ্য করবে না।

প্রতিশোধমূলক ট্যারিফ: ‘যেমন করে তেমনি’ নীতি

‘প্রতিশোধমূলক ট্যারিফ’ এর অর্থ হল পারস্পরিক শুল্ক, অর্থাৎ যদি কোনও দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর অধিক ট্যারিফ আরোপ করে, তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও তার উপর ঠিক ততটুকু কর আরোপ করবে। এর উদ্দেশ্য হল বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা দূর করা এবং দেশীয় শিল্পকে উৎসাহ দেওয়া।

* বাণিজ্য ভারসাম্য: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতে, এতে বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা দূর হবে এবং সকল দেশকে একই ট্যারিফ নীতি গ্রহণ করতে বাধ্য করা হবে।
* স্থানীয় শিল্পকে উৎসাহ: মার্কিন পণ্যের প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে দেশীয় উৎপাদনে লাভ হবে।
* ভারত-মার্কিন বাণিজ্য সম্পর্কের উপর প্রভাব: ভারত থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে, যার ফলে ভারতীয় কোম্পানিগুলিকে ক্ষতি হতে পারে।

ট্রাম্পের ‘মার্কিন প্রথম’ কর্মসূচী

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নীতি বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধকে আরও জোরদার করতে পারে। যদি ভারতও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর প্রতিশোধমূলক ট্যারিফ আরোপ করে, তাহলে আমদানি-রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং উভয় দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে পারে। তার বক্তৃতায় ট্রাম্প ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ফিরে এসেছে’ স্লোগান দিয়ে বলেছেন, "আমরা মার্কিন শিল্পকে রক্ষা করার জন্য ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়েছি। এখন আর কোনও দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাণিজ্যিকভাবে দুর্বল করতে পারবে না।" তিনি এও দাবি করেছেন যে, তার শাসনামলে মার্কিন অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে গেছে।

ভারত এখন এই নতুন ট্যারিফ নীতির জবাব কীভাবে দেবে তা দেখার বিষয়টি আকর্ষণীয় হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতকে তার রপ্তানি কৌশলের উপর পুনর্বিবেচনা করতে হবে এবং সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য আলোচনা আরও শক্তিশালী করতে হবে।

```

Leave a comment