মহারাষ্ট্রের শক্তিपीठ এক্সপ্রেসওয়ে: তীর্থযাত্রীদের জন্য নতুন দিগন্ত

মহারাষ্ট্রের শক্তিपीठ এক্সপ্রেসওয়ে: তীর্থযাত্রীদের জন্য নতুন দিগন্ত
সর্বশেষ আপডেট: 6 ঘণ্টা আগে

মহারাষ্ট্রের তিনটি প্রধান শক্তিपीठ - মহালক্ষ্মী মন্দির (কোলাপুর), তুলজা ভবানী মন্দির (ধারাशिव) এবং রেণুকা মাতা মন্দির (নাंदेড়) -কে যুক্ত করবে এই নতুন এক্সপ্রেসওয়ে। এই করিডোরটি শুধুমাত্র তীর্থযাত্রীদের জন্য ভ্রমণকে সহজ করবে না, বরং ধর্মীয় পর্যটনকেও নতুন করে উৎসাহিত করবে।

মহারাষ্ট্রের জন্য একটি বড় খবর এসেছে - নাগপুর থেকে গোয়াকে যুক্ত করার লক্ষ্যে ‘শক্তিपीठ এক্সপ্রেসওয়ে’ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এই এক্সপ্রেসওয়েটি শুধু দুটি প্রধান শহরকে নয়, বরং রাজ্যের ১৮টি প্রধান তীর্থস্থানকে সংযুক্ত করবে এবং এটি একটি ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সংযোগ স্থাপন করবে। প্রকল্পটি নিয়ে উৎসাহের माहौल তৈরি হয়েছে, কারণ এটি নাগপুর থেকে গোয়ায় ভ্রমণের সময়কে প্রায় ১৮ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ৮ ঘণ্টা করবে।

শক্তিपीठ এক্সপ্রেসওয়ে কী?

https://subkuz.com/uploads/news/2025/06/685bb8311fb051750841393.jpg

এই এক্সপ্রেসওয়েটি, যা এখন আনুষ্ঠানিকভাবে ‘মহারাষ্ট্র শক্তিपीठ মহাম্গার’ নামে পরিচিত, প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি উচ্চ-গতির করিডোর হবে। এটি ভার্দহা জেলার पवनার গ্রাম থেকে শুরু হয়ে সিন্ধুড়গ জেলার পतरादेवी পর্যন্ত বিস্তৃত, যা মহারাষ্ট্র এবং গোয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা। এই এক্সপ্রেসওয়ে মহারাষ্ট্রের ১১টি জেলার মধ্যে দিয়ে যাবে এবং মহালক্ষ্মী মন্দির, তুলজা ভবানী মন্দির, রেণুকা মাতা মন্দির, সেইসাথে पंढরপুর এবং अंबाजोगाई-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় কেন্দ্রগুলিকে যুক্ত করবে।

এক্সপ্রেসওয়েটি কোন কোন ধর্মীয় স্থানকে যুক্ত করবে?

  • মহালক্ষ্মী মন্দির, কোলাপুর
  • তুলজা ভবানী মন্দির, ধারাशिव
  • রেণুকা মাতা শক্তিपीठ, নাंदेড়
  • पंढরপুর মন্দির, সোলাপুর
  • অম্বাঝোगाई মন্দির, বিয়দ
  • ওঁডা নাগনাথ জ্যোতির্লিং, হিংোলি
  • পারলি বৈজনাথ জ্যোতির্লিং, বিয়দ

এই তীর্থস্থানগুলিকে যুক্ত করার ফলে এই পথটি কেবল একটি সাধারণ রাস্তা প্রকল্প হিসেবেই নয়, বরং মহারাষ্ট্রকে একটি আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য হিসেবে একত্রীভূত করবে।

খরচ এবং বাস্তবায়ন

রাজ্য সরকার এই महत्वाकांक्षी প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ২০,৭৮৭ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে। সম্পূর্ণ এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য প্রায় ৮০,০০০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন রাজ্য দ্বারা পরিচালিত ‘বেসিক অবকাঠামো কর্পোরেশন’ এর মাধ্যমে করা হবে, যেখানে ভূমি অধিগ্রহণ এবং পরিকল্পনা ‘পीडब्ल्यूডি’ (PWD) দ্বারা সম্পন্ন হবে।

ভূমি অধিগ্রহণের বর্তমান অবস্থা এবং কৃষকদের প্রতিবাদ

এই প্রকল্পের জন্য মোট ৮,৪১৯ হেক্টর জমি প্রয়োজন, যার মধ্যে প্রায় ৮,১০০ হেক্টর কৃষকদের জমি। বিশেষ করে কোলাপুর এবং এর आसपासের অঞ্চলে sugarcane belt-এর সাথে যুক্ত কৃষকরা এই প্রকল্পের বিরোধিতা করেছিলেন। কৃষকদের উদ্বেগ দূর করার জন্য সরকার ক্ষতিপূরণ নীতিতে পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করছে, যাতে ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করা যায়।

কেন এই এক্সপ্রেসওয়েটি বিশেষ?

https://subkuz.com/uploads/news/2025/06/685bb83c277b11750841404.jpg

  • এটি শুধুমাত্র যানজট কমানোর জন্য নয়, বরং ধর্মীয় পর্যটনকেও উৎসাহিত করবে
  • এটি ভির্দহা, মারাঠवाड़ा এবং পশ্চিম মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অঞ্চলের মধ্যে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করবে
  • এই এক্সপ্রেসওয়ে মহারাষ্ট্রের গ্রামীণ এলাকাগুলোকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে
  • অনেক ধর্মীয় এবং সাধারণ পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ সহজ হবে
  • গোয়া এবং নাগপুর মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যকলাপ এবং ব্যবসা বৃদ্ধি পাবে

অন্যান্য সুবিধা

  • পর্যটনকে উৎসাহিত: প্রধান তীর্থস্থানগুলির সংযোগের মাধ্যমে মহারাষ্ট্রে ধর্মীয় পর্যটন বৃদ্ধি পাবে, যা স্থানীয়দের জন্য নতুন কাজের সুযোগ তৈরি করবে।
  • রাস্তার নিরাপত্তা এবং গুণমান বৃদ্ধি: আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি এই এক্সপ্রেসওয়ে যান চলাচলকে নিরাপদ এবং মসৃণ করবে।
  • বাণিজ্যিক পরিবহনের সুবিধা: নাগপুর থেকে গোয়া পর্যন্ত পণ্য পরিবহন সহজ হবে, যা পরিবহন সংস্থাগুলির সময় এবং জ্বালানি সাশ্রয় করবে।
  • স্থানীয় অর্থনীতির উন্নতি: ছোট শহর এবং গ্রামগুলিতে হোটেল, রেস্টুরেন্ট, পেট্রোল পাম্প এবং অন্যান্য সহায়ক অবকাঠামোর বিকাশ ঘটবে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং চ্যালেঞ্জ

যদিও এই প্রকল্পটি অনেক সম্ভাবনা নিয়ে গঠিত, তবে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে

  • ভূমি অধিগ্রহণের সাথে সম্পর্কিত সংবেদনশীলতা
  • প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রের উপর প্রভাব
  • রাজনৈতিক এবং সামাজিক মতপার্থক্য
  • বাজেট ব্যবস্থাপনা এবং সময়মতো প্রকল্পটি সম্পন্ন করার চ্যালেঞ্জ

সরকার এই সমস্ত বিষয় বিবেচনায় নিয়ে একটি সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করার কথা বলেছে, যেখানে পরিবেশের সুরক্ষা এবং স্থানীয় জনগণের সম্মতিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

Leave a comment