ভারতীয় টেস্ট দল বর্তমানে একটি কঠিন दौरের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। लगातार আসা পরাজয় শুধুমাত্র সমর্থকদের হতাশ করেনি, বরং দলের লাল বলের ফরম্যাটে স্থিতিশীলতা এবং আত্মবিশ্বাস নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।
খেলা বিষয়ক খবর: ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্ব হিসেবে গৌতম গম্ভীরকে জুন ২০২৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে নিযুক্ত করার পর নতুন করে আশা জাগে। টি20 বিশ্বকাপ ২০২৪ জেতার পর রাহুল দ্রাবিড়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গম্ভীরকে দায়িত্ব দেওয়া হয় দলের তিনটি ফরম্যাটেই নতুন দিশা দেখানোর জন্য। কিন্তু প্রায় এক বছর পর, বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
গম্ভীর’র কোচিংয়ে ভারত এখন পর্যন্ত ১১টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে, যার মধ্যে সাতটিতে হেরেছে, তিনটি জিতেছে এবং একটি ড্র হয়েছে। এই পরিসংখ্যানটি ভারত这样一个 টেস্ট শক্তিধর দলের জন্য উদ্বেগের কারণ। আসুন, বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক কেন গম্ভীরের কৌশল লাল বলের ক্রিকেটে কার্যকর হয়নি।
টি20 এবং ওয়ানডেতে ভালো ফল, কিন্তু টেস্টে দুর্বল পারফরম্যান্স
গম্ভীর’র তত্ত্বাবধানে ভারত তিনটি ফরম্যাটেই মোট ৩০টি ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে ১৮টিতে জয়, ১০টিতে হার, ১টি ড্র এবং ১টি টাই হয়েছে। ওয়ানডে এবং টি20 ফরম্যাটে গম্ভীর তুলনামূলকভাবে ভালো ফলিয়েছেন। টিম ইন্ডিয়া ইংল্যান্ড এবং বাংলাদেশ উভয় দলের বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের সিরিজ জিতেছে এবং চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০২৫ নিজেদের নামে করেছে।
কিন্তু যখন টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে কথা আসে, তখন গম্ভীরের কৌশল এবং নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। ভারত তাদের কোচিংয়ের সময় বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে বাড়িতে পরাজিত করে, কিন্তু নিউজিল্যান্ডকে ৩-০ এবং অস্ট্রেলিয়া ১-৩ ব্যবধানে পরাজিত করার পর এখন ইংল্যান্ড সফরে ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে।
গম্ভীরের কোচিংয়ে কোন কোন সিরিজ খেলা হয়েছে
সিরিজ | ম্যাচের সংখ্যা | জয়ী দল | ফলাফল |
ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা (ওয়ানডে) | 3 | শ্রীলঙ্কা | 0-2 |
ভারত বনাম বাংলাদেশ (টেস্ট) | 2 | ভারত | 2-0 |
ভারত বনাম বাংলাদেশ (টি20) | 3 | ভারত | 3-0 |
ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড (টেস্ট) | 3 | নিউজিল্যান্ড | 0-3 |
ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া (টেস্ট) | 5 | অস্ট্রেলিয়া | 1-3 |
ভারত বনাম ইংল্যান্ড (টি20) | 5 | ভারত | 4-1 |
ভারত বনাম ইংল্যান্ড (ওয়ানডে) | 3 | ভারত | 3-0 |
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি (ওয়ানডে) | 5 | ভারত | চ্যাম্পিয়ন |
ভারত বনাম ইংল্যান্ড (টেস্ট)* | 5 | ?? | 0-1* |
রোহিত ও বিরাট’র অবসর প্রভাব
অস্ট্রেলিয়া दौरेতে দুই दिग्गज ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি হঠাৎ টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেন। কোচিংয়ের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এবং কৌশলগত মতভেদ নিয়ে নানা খবর শোনা যায়। এই পরিস্থিতিতে, তরুণ খেলোয়াড়দের সঙ্গে গম্ভীরের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়। দলে শুভমন গিল, यशस्वी जायसवाल, রুদ্রানয় সদি, রাজত পাটিদার মতো নতুন মুখ থাকলেও, অভিজ্ঞতা এবং কৌশলগত নমনীয়তার অভাবে দল পিছিয়ে পড়েছে।
গম্ভীরের প্রত্যাশা ও সহায়ক কর্মীদের নিয়ে প্রশ্ন
গৌতম গম্ভীরকে কোচ হিসেবে নিযুক্ত করার আগে, তিনি बीसीसीआई-র কাছে সহায়ক কর্মীদের পছন্দের অধিকার চান। এর অংশ হিসেবে তিনি अभिषेक নায়ার এবং রেয়ান টেন ডেসচকাটেকে সহকারী কোচ হিসেবে নিযুক্ত করেছেন এবং বোলারల কোচ হিসেবে জहीर খান ও মর্নে মর্কেলকে বেছে নিয়েছেন।
তবে, বোলারদের মধ্যে জাসপ্রিত বুমরাহির বাইরে সবাই संघर्ष করেছেন। নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া উভয় দলের বিরুদ্ধে স্পিনার এবং মিডল অর্ডার ব্যর্থ হয়েছে। अभिषेक নায়ার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ক্লিন সুইপ হওয়ার পর ছাঁটাই করা হলেও, পারফরম্যান্সে তেমন উন্নতি হয়নি।
অস্বস্তিকর রেকর্ডের তালিকা
গম্ভীর’র কোচিংয়ে ভারত এমন কিছু রেকর্ড তৈরি করেছে যা ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের সোনালী সময়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
- 148 বছরের টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবার ভারত একটি টেস্টে পাঁচটা शतक পেলেও হেরেছে।
- নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে 36 বছরের পর প্রথম টেস্টে হার।
- চিন্নাस्वामी স্টেডিয়ামে 19 বছরের পর প্রথম হার।
- ঘরে প্রথমবার 50-এর নিচে (46 রান) অলআউট।
- 91 বছরের পর প্রথমবার ভারত তার ঘরে তিন বা তার বেশি ম্যাচের টেস্ট সিরিজে প্রতিপক্ষকে ক্লিন সুইপ করলো।
- বর্ডার गावस्कर ট্রফি 10 বছর পর হারলো।
- একটানা দুই টেস্ট সিরিজে ভারত 10 বছর পর হারলো।
શું BCCI এখন স্প্লিট কোচিংয়ের কথা বিবেচনা করবে?
বিसीसीआई এতদিন বিভিন্ন ফরম্যাটের জন্য আলাদা কোচ রাখার নীতি অনুসরণ করেছে। কিন্তু ক্রমাগত পরাজয় এবং টেস্ট ক্রিকেটে দুর্বল পারফরম্যান্সের কারণে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও গম্ভীর সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সফল ছিলেন, টেস্ট ক্রিকেটে স্থিতিশীলতা, ধৈর্য এবং কৌশলগত পরিবর্তন প্রয়োজন - যা এখন পর্যন্ত তার কোচিংয়ে দেখা যায়নি।
অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং বিশ্লেষকদের মতে, যদি ইংল্যান্ড সফরেও ভারত টেস্ট সিরিজ হারায়, তাহলে बीसीसीआईকে কঠিন পদক্ষেপ নিতে হতে পারে। সম্ভবত টেস্টের জন্য আলাদা কোচ নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা শুরু হতে পারে।