গুজরাতের রাজনীতিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে যখন বোটাদ থেকে আম আদমি পার্টির (AAP) বিধায়ক উমেশ মাকওয়ানা দলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দেন। তিনি বলেন যে ওবিসি নেতাদের শুধুমাত্র নির্বাচনী সুবিধার জন্য ব্যবহার করা হয়, কিন্তু নির্বাচন শেষ হওয়ার পরেই তাদের একপাশে সরিয়ে দেওয়া হয়। এখন তিনি ভবিষ্যতের কৌশল নিয়ে আলোচনার জন্য বোটাদে তার সমর্থক এবং ওবিসি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা বলেছেন। এই বৈঠকের পরেই তিনি স্থির করবেন যে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন কিনা।
রাজনৈতিক দলগুলির উপর সরাসরি আক্রমণ
মাকওয়ানা ইস্তফার পরে AAP-এর পাশাপাশি বিজেপি এবং কংগ্রেসের উপরও আক্রমণ করেন। তিনি বলেন যে কোলি সহ ওবিসি সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা গুজরাটে সবচেয়ে বেশি, তবুও তিন দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও বিজেপি কোনও ওবিসি নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী বা প্রদেশ সভাপতি করেনি। কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও তিনি ওবিসি সম্প্রদায়ের বিষয়গুলি উপেক্ষা করার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, যদি দলগুলি ডঃ ভীমরাও আম্বেদকরের দেখানো পথে চলতে না পারে, তাহলে কেবল তাঁর ছবি লাগিয়ে কিছু হবে না।
দল থেকে সাসপেন্ড
মাকওয়ানার তীব্র মনোভাব এবং ইস্তফার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই আম আদমি পার্টি তাকে "দল বিরোধী কার্যকলাপ"-এর অভিযোগে সাসপেন্ড করে। তাঁর এই পদক্ষেপ এমন সময় সামনে আসে যখন 'আপ' সম্প্রতি ভিসাবদার আসনে উপনির্বাচনে জয়লাভ করেছে। যদিও কাদি আসনে দলটি পরাজয় স্বীকার করেছে, যেখানে তাদের প্রার্থী তৃতীয় স্থানে ছিল।
AAP-এর ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পাঁচজন বিধায়ক জয়ী হয়েছিলেন, যাদের মধ্যে মাকওয়ানা একজন ছিলেন। এখন তাঁর ইস্তফা এবং সাসপেন্ডের পরে দলের অভ্যন্তরীণ কলহ আবারও সামনে চলে এসেছে। রাজনৈতিক মহলে এখন জোর আলোচনা চলছে যে উমেশ মাকওয়ানা পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপ কোন দিকে নেবেন – তিনি অন্য কোনও দলে যোগ দেবেন, নাকি নতুন কোনও রাজনৈতিক মঞ্চ তৈরি করবেন?