বিখ্যাত এবং অনুপ্রেরণাদায়ক গল্প, বাঁদর ও লাল বড়ই
এটি অনেক পুরোনো ঘটনা, পাহাড়ের উপরে একদল বাঁদর বাস করত। যখন খুব শীত পড়ত, তখন তাদের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যেত, কারণ তাদের থাকার কোনো নির্দিষ্ট জায়গা ছিল না। শীতের মরশুম আবার আসতে চলেছিল। এমন পরিস্থিতিতে একটি বাঁদর পরামর্শ দিল যে, কেন তারা কাছের গ্রামে গিয়ে মানুষের বাড়িতে আশ্রয় না নেয়, যতক্ষণ না শীত কমে যায়।
অন্য বাঁদরগুলো তার পরামর্শ মেনে নিল এবং তারা কাছের গ্রামের দিকে রওনা হল। সকালে যখন গ্রামবাসীরা উঠল, তখন তারা দেখল যে বাঁদরগুলো তাদের বাড়ির চালে এবং গাছের ডালে লাফালাফি করছে। তারা তাদের স্বাগত জানাল পাথর ছুঁড়ে এবং লাঠি দেখিয়ে। হতাশ হয়ে বাঁদরগুলো সেখান থেকে পালিয়ে তাদের পুরনো বাসস্থানে ফিরে গেল, আবার কঠিন শীত সহ্য করার জন্য।
তারপর একটি বাঁদরের মনে হল যে, কেন তারা শীত থেকে বাঁচতে আগুন জ্বালাবে না। সেই বাঁদরটি গ্রামবাসীদের আগুনের চারপাশে বসে থাকতে দেখেছিল। সেখানেই কাছে লাল বড়ইয়ের বড়ো ঝাড় ছিল। বাঁদরগুলো সেগুলোর বড়ইগুলোকে কয়লার টুকরো মনে করে তুলতে শুরু করল। অনেক বড়ই তুলে শুকনো কাঠের স্তূপের নিচে রাখা হল এবং তাতে আগুন ধরানো হল। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও যখন আগুন ধরল না, তখন বাঁদরগুলো হতাশ হয়ে গেল।
ঠিক সেখানেই কাছে একটি গাছের উপরে পাখির বাসা ছিল। তারা যখন বাঁদরগুলোর এই অবস্থা দেখল, তখন একটি পাখি বলল, "তোমরা কত বোকা যে ফল দিয়ে আগুন জ্বালাচ্ছ, ফলও কি কোথাও জ্বলে নাকি? তোমরা কাছের গুহায় কেন আশ্রয় নিচ্ছ না?" বাঁদরগুলো যখন দেখল যে পাখিটি তাদের উপদেশ দিচ্ছে, তখন তারা রাগে লাল হয়ে গেল।
একটি বুড়ো বাঁদর বলল, "তুই আমাদের বোকা বললি, তোর সাহস কী করে হল আমাদের ব্যাপারে নাক গলানোর?" কিন্তু সেই পাখিটি বলতে থাকল। তখন রেগে গিয়ে একটি বাঁদর তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল এবং তার ঘাড় মটকে দিল। পাখিটি সঙ্গে সঙ্গেই মারা গেল।
এই গল্প থেকে আমরা এই শিক্ষা পাই যে - দুষ্টু প্রাণীদের ভালো উপদেশ দেওয়াও ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আমাদের প্রচেষ্টা হল যে, একইভাবে আপনাদের সকলের জন্য ভারতের অমূল্য রত্ন, যা সাহিত্য, শিল্পকলা, গল্পে রয়েছে, সেগুলি সহজ ভাষায় আপনাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। এইরকম প্রেরণাদায়ক গল্প-কাহিনিগুলোর জন্য পড়তে থাকুন subkuz.com
```
