দিল্লির সুভাষ প্লেসে এক যুবক তার সাবেক মহিলা সহকর্মীর সাথে বন্ধুত্ব ভেঙে যাওয়ার পর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য একটি ভুয়ো সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল তৈরি করেছিল। সেখানে অশ্লীল ছবি এবং ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করে। জানুন কিভাবে অভিযুক্তকে ধরা হল এবং পুলিশ কি বলছে।
সোশ্যাল মিডিয়া: দিল্লির এক সাবেক সহকর্মীর প্রতিশোধ: দিল্লির সুভাষ প্লেসের একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করার সময় দুই সহকর্মীর মধ্যে প্রথমে বন্ধুত্ব হয়, কিন্তু পরে সেই সম্পর্ক একটি বিপজ্জনক মোড় নেয়। বারটেন্ডার দিবানশু এবং ওয়েট্রেস যুবতী একই রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন এবং ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। কিন্তু কিছু ব্যক্তিগত কারণে তাদের বন্ধুত্ব ভেঙে যায় এবং ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে যুবতীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দিবানশুকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করে নারীর চরিত্রের সাথে খেলা
তার বরখাস্ত এবং বন্ধুত্ব ভেঙে যাওয়ার জন্য ক্ষুব্ধ দিবানশু প্রতিশোধের উদ্দেশ্যে যুবতীর একটি ভুয়ো সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল তৈরি করে। পুলিশের মতে, সে কেবলমাত্র যুবতীর নামে অ্যাকাউন্ট তৈরিই করেনি, বরং সেখানে অশ্লীলভাবে ছিঁড়ে ফেলা ছবি এবং তার মোবাইল নম্বরও পোস্ট করে। এই কাজের ফলে যুবতীর ব্যক্তিগত জীবনে গভীর আঘাত লেগেছে।
সাইবার পুলিশের প্রযুক্তিগত তদন্তে অভিযুক্ত ধরা পড়ে
২০২৫ সালের ১১ই মার্চ, ভুক্তভোগী যুবতী বহির্দিল্লির সাইবার থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন, এরপর পুলিশ আইটি আইন অনুযায়ী মামলা রুজু করে। সাইবার দল প্রযুক্তিগত তদন্তে কোনো ত্রুটি রাখেনি। আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাকিং, কল ডিটেইলস এবং ডিজিটাল নজরদারির মাধ্যমে অভিযুক্তের অবস্থান নির্ণয় করা হয়। অবশেষে, একটি পরিকল্পিত অভিযানের মাধ্যমে দিবানশুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জেরায় অপরাধ স্বীকার, যন্ত্রপাতিও উদ্ধার
জেরায় দিবানশু তার অপরাধ স্বীকার করে। পুলিশ তার কাছ থেকে সেই ইলেকট্রনিক ডিভাইসটিও জব্দ করে, যা ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি এবং ছবির সাথে ছিঁড়ে ফেলার কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল। কর্মকর্তা জানান, এই পুরো ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করা হচ্ছে যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে অভিযুক্ত আর কারও সাথেও এ ধরণের অপরাধ করেছে কি না।