অজমেরে হিন্দু সংগঠনগুলি ৫ জন নাবালিকা মেয়ের যৌন নির্যাতন মামলায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে, কালেক্টরেটে ধর্ণা দিয়েছে এবং মাদ্রাসাগুলির তদন্তের দাবি তুলেছে।
রাজস্থান: রাজস্থানের অজমেরে শনিবার হিন্দু সংগঠনগুলি ৫ জন নাবালিকা মেয়ের যৌন নির্যাতন মামলায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। এই সমাবেশ বিজয়নগরের গান্ধী ভবন থেকে অজমের কালেক্টরেট পর্যন্ত বেরিয়েছিল, এরপর প্রতিবাদকারীরা কালেক্টরেটের বাইরে ধর্ণা দিয়েছিল। এই সময় আশেপাশের এলাকার বাজারগুলিও বন্ধ ছিল।
বিজেপি নেতারা এবং হিন্দু সংগঠনগুলি অংশগ্রহণ করেছে
এই প্রতিবাদে অজমের দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অনিতা ভদেল, অজমের নগর নিগমের উপ-মেয়র নীরজ জৈন, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (বিএইচপি) এবং অন্যান্য হিন্দু সংগঠনের নেতারা এবং বাজার সংগঠনের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেছেন। সবাই পীড়িত পরিবারগুলিকে ন্যায়বিচার দান এবং মামলার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেছেন।
মাদ্রাসা এবং হুक्কা বারগুলির তদন্তের দাবি
প্রতিবাদকারীরা অজমেরে মাদ্রাসাগুলির নিবন্ধন তদন্ত এবং অনৈতিক কার্যকলাপের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হুक्কা বারগুলির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। ব্যাওয়ার জেলার পাঁচটি নাবালিকা মেয়ের কথিত যৌন নির্যাতন এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তরের চেষ্টার ঘটনা প্রকাশের পর এলাকায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বেড়েছে। এই মামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যদিও তিনজন নাবালিকাকে আটক করা হয়েছে।
কালেক্টরেটের বাইরে প্রতিবাদ
প্রতিবাদের সময় কিছু লোক কালেক্টরেটের বাইরে স্থাপিত ব্যারিকেডে উঠে গিয়েছিল। অন্যদিকে, কিছু জায়গায় টেম্পোর টায়ারের বাতাস ছেড়ে দেওয়া এবং যাত্রীদের নামানোর ঘটনাও ঘটেছে। এতে কিছুক্ষণের জন্য এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
মুখ্যমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান
সর্ব হিন্দু সমাজের প্রতিনিধিরা কালেক্টরের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মাকে স্মারকলিপি দিয়েছেন। এতে অভিযোগ করা হয়েছে যে কিছু যুবক ‘লাভ জিহাদ’ সংশ্লিষ্ট একটি দল তৈরি করেছে, যা স্কুলের ছাত্রীদের লক্ষ্যবস্তু করছে। স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, প্রথমে অভিযুক্তরা মেয়েদের প্রেমজালে ফাঁসিয়ে, তারপর মোবাইল উপহার দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে। অভিযোগ, শুধু যৌন নির্যাতনই নয়, তাদের ধর্মান্তরের জন্যও বাধ্য করা হয়েছে।
অভিযুক্তদের মোবাইলের তদন্তের দাবি
অজমের নগর নিগমের উপ-মেয়র নীরজ জৈন বলেছেন, অভিযুক্তরা মেয়েদের ব্ল্যাকমেইল করে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে। মেয়ে ও তাদের পরিবারকে জানে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছে। তিনি মামলার সিবিআই তদন্ত এবং সমস্ত অভিযুক্তদের মোবাইল ফোনের গভীর তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
কীভাবে মামলা প্রকাশ্যে আসে
বিজয়নগর পুলিশ ১৬ ফেব্রুয়ারি পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তিনটি এফআইআর দায়ের করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা শের সিংহ জানিয়েছেন, গ্রেফতার অভিযুক্তদের মধ্যে আটজন মুসলিম এবং দুজন হিন্দু, যারা একটি ক্যাফের পরিচালক ছিলেন। তিনজন নাবালিকা অভিযুক্ত মুসলিম সম্প্রদায়ের।
পুরো মামলার প্রকাশ্যে আসে যখন পীড়িত মেয়েদের একজন তার বাবার পকেট থেকে ২০০০ টাকা চুরি করে, যা সে একজন অভিযুক্তকে দিতে যাচ্ছিল। তদন্তে ওই মেয়ের কাছে একটি চাইনিজ মোবাইল পাওয়া যায়, যার মাধ্যমে সে অভিযুক্তের সাথে যোগাযোগ রাখতো।
অবৈধ দখলের নোটিশ জারি
এখন এই মামলায় নতুন মোড় এসেছে। অভিযুক্তদের পরিবার, জামা মসজিদ এবং ১০০ বছরের পুরানো কবরস্থানকে বিজয়নগর পৌরসভা অবৈধ দখলের নোটিশ জারি করেছে। পুলিশ ও প্রশাসন মামলার গুরুত্ব বিবেচনায় তদন্তে ব্যস্ত রয়েছে।