সজিব ওয়াজেদ জয়ের আমেরিকান নাগরিকত্ব গ্রহণ: বাংলাদেশে রাজনৈতিক তোলপাড়

🎧 Listen in Audio
0:00

শেখ হাসিনার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় আমেরিকান নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। ইউনুস সরকার কর্তৃক পাসপোর্ট বাতিলের পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তোলপাড়।

Bangladesh News: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় আমেরিকান নাগরিকত্ব (US Citizenship) লাভ করেছেন। এই সংবাদ প্রকাশের সাথে সাথেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিশেষত, তার বাংলাদেশী পাসপোর্ট ইউনুস সরকার কর্তৃক পূর্বেই বাতিল করা হয়েছিল, যার পরই তাকে এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।

ওয়াশিংটন ডিসিতে আমেরিকান নাগরিকত্বের শপথ গ্রহণ

বাংলাদেশ ডেইলির প্রতিবেদনের মতে, সজিব ওয়াজেদ জয় ওয়াশিংটন ডিসিস্থিত আমেরিকান নাগরিকত্ব কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে আমেরিকান নাগরিকত্বের শপথ গ্রহণ করেছেন। একই সাথে তাকে নাগরিকত্ব প্রমাণপত্র (Citizenship Certificate)ও প্রদান করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার পর জয় আমেরিকান পাসপোর্টের জন্যও আবেদন করেছেন।

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ২২ জন অংশগ্রহণ

জানা গেছে, ওই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের ২২ জন নাগরিক আমেরিকার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এবং সজিব ওয়াজেদ জয় দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি শপথ গ্রহণ করেছেন। তিনি তার সাথে একজন আইনজীবীকেও নিয়ে গিয়েছিলেন, যাতে আইনগত প্রক্রিয়া সহজেই সম্পন্ন করা যায়।

কেন জয়কে আমেরিকান নাগরিকত্ব নিতে হলো?

বাংলাদেশের রাজনীতির সাথে যুক্ত একজন জ্যেষ্ঠ নেতা এবং প্রাক্তন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরফাত এই বিষয়ে স্পষ্টীকরণ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সজিব ওয়াজেদ জয় এর আগে বাংলাদেশী পাসপোর্ট ধারণ করতেন, যা নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী মোহাম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অবৈধভাবে বাতিল করে দিয়েছিল।

আরফাত জানিয়েছেন, জয়-এর কাছে আমেরিকার গ্রিন কার্ড (Green Card) ছিল, কিন্তু এটি দিয়ে তিনি আমেরিকার বাইরে ভ্রমণ করতে পারতেন না। তার মায়ের সাথে দেখা করার এবং আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য তাকে পাসপোর্টের প্রয়োজন ছিল। এই কারণেই তিনি আমেরিকান পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন এবং নাগরিকত্ব লাভ করেছেন।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের সূত্রপাত

গত বছরের আগস্টে ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহের পর শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। এরপর তিনি ভারতে চলে যান। অন্যদিকে, বাংলাদেশে মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়, যা কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

ইউনুস সরকার শুধু শেখ হাসিনার পুত্র জয়ের পাসপোর্ট বাতিল করেনি, বরং দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের (Awami League) উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের উল্লেখ করে আরোপ করা হয়েছে। ইউনুস সরকার আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে।

আওয়ামী লীগের উপর কেন নিষেধাজ্ঞা?

১০ মে ইউনুস সরকার প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (International Criminal Tribunal) অভিযোগকারী ও সাক্ষীর নিরাপত্তার জন্যও এই সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

এছাড়াও, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আওয়ামী লীগের সকল কর্মকাণ্ডের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে সাইবার স্পেসে দলের উপস্থিতির উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

Leave a comment