ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’: পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, সেনাপ্রধানের মধ্যরাতের ফোন

🎧 Listen in Audio
0:00

ভারত “অপারেশন সিন্দুর” এর আওতায় রাতে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় ভীত হয়ে পাক সেনাপ্রধান মুনির মধ্যরাতে প্রধানমন্ত্রী শরিফকে ফোন করেছিলেন। শরিফ এই হামলার কথা সর্বসাধারণের কাছে স্বীকার করেছেন।

পাকিস্তান: ভারত পাল্টা আক্রমণ হিসেবে “অপারেশন সিন্দুর” এর আওতায় মধ্যরাতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানের জন্য এটি ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ রাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১০ মে রাতে পাকিস্তানের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটিতে ভারত মারাত্মক হামলা চালিয়েছে। রাওয়ালপিন্ডির নুরখান বিমানঘাঁটি, মুরিদকে, রফিকি সহ ১১ টি বিমানঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

মধ্যরাতে ভীত পাক সেনাপ্রধানের ফোন

এই হামলার পর পাকিস্তানে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির নিজেই ভীত হয়ে মধ্যরাতে প্রায় ২:৩০ টায় প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে ফোন করেছিলেন। এই তথ্য শেহবাজ শরিফ নিজেই প্রকাশ করেছেন।

শেহবাজ শরিফের বড় স্বীকারোক্তি

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সম্প্রতি ইসলামাবাদের পাকিস্তান মনিউমেন্টে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ঘটনার উল্লেখ করেছেন। “যৌম-এ-তশক্কুর” নামক এই অনুষ্ঠানে শরিফ উন্মুক্ত মঞ্চ থেকে বলেছেন যে, ৯-১০ মে রাতে যখন তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন সেনাপ্রধান মুনিরের ফোন এসেছিল এবং তিনি ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর দিয়েছিলেন।

শেহবাজ শরিফ জনতাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন:

"ভারত নুরখান সহ বেশ কিছু বিমানঘাঁটিতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে। আমাদের বিমানবাহিনী চীনা যুদ্ধবিমান এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাল্টা আক্রমণ করেছে।"

পাকিস্তান সরকার প্রথমবার স্বীকার করল ভারত হামলা চালিয়েছে
এর আগে পাকিস্তান সেনা সংবাদ সম্মেলন করে হামলার কথা নিশ্চিত করেছিল, কিন্তু সরকার ক্রমাগত তা অস্বীকার করে আসছিল। এখন প্রথমবার পাক সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছে যে ভারত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এই স্বীকারোক্তি পাকিস্তানের জনগণের জন্যও চমকপ্রদ।

সেনা মুখপাত্র তথ্য দিয়েছিলেন

হামলার পরের দিন অর্থাৎ ১০ মে সকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে দেশবাসীকে ভারতের হামলার কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, ভারত রাওয়ালপিন্ডি, মুরিদকে, রফিকি সহ বেশ কিছু বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছে, যাতে পাকিস্তানের বিমানবাহিনীকে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

অপারেশন সিন্দুর: ভারতের বড় কূটনৈতিক বিজয়

ভারতের এই অপারেশনকে “সিন্দুর” নাম দেওয়া হয়েছে, যা পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং সরকারের জন্য একটি বড় সতর্কবার্তা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। ভারত বিশ্বের কাছে দেখিয়ে দিয়েছে যে, যদি পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের সমর্থন অব্যাহত রাখে, তাহলে ভারত চুপ করে বসে থাকবে না।

Leave a comment