উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদব ও ব্রজেশ পাঠকের বিবাদের উপর সিএম যোগী সপা প্রধানকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সংযম ও মর্যাদা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
UP Politics: উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে এই দিনগুলিতে একটি বড় বিবাদ দেখা দিয়েছে, যা সমাজবাদী পার্টি (সপা)-র প্রধান অখিলেশ যাদব ও রাজ্যের ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠকের মধ্যে চলছে। এই বিবাদে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রথমবারের মতো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। যোগী কেবলমাত্র নিজের মতামতই প্রকাশ করেননি, বরং সপা প্রধানকে সোশ্যাল মিডিয়ায় মর্যাদা ও সংযম বজায় রাখার পরামর্শও দিয়েছেন।
বিবাদের সূত্রপাত ও বর্ধমান বক্তব্য
ব্রজেশ পাঠকের ডিএনএ পরীক্ষা সম্পর্কিত একটি বিবৃতি দেওয়ার পর থেকেই এই বিবাদ শুরু হয়। এরপর সমাজবাদী পার্টির মিডিয়া সেলের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে ব্রজেশ পাঠককে কেন্দ্র করে একটি বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়, যার ফলে রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বেড়ে যায়। বিজেপি নেতারা এই মন্তব্যকে অশোভন বলে অভিহিত করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন।
কিছুক্ষণ পর সপা মিডিয়া সেল বিতর্কিত পোস্টটি সরিয়ে নেয়, কিন্তু বিষয়টি এখানেই শেষ হয়নি। এরপর অখিলেশ যাদব স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠককে এই বিতর্কিত বিবৃতির জন্য পরামর্শ দেন। জবাবে ব্রজেশ পাঠক সপা প্রধানকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, ডাক্তার রাম মনোহর লোহিয়ার সমাজবাদের বোধ আজকের সপাতে আর নেই।
সিএম যোগীর প্রথম প্রতিক্রিয়া
এই সম্পূর্ণ ঘটনাপ্রবাহে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রথম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন, যেখানে তিনি সরাসরি কারও নাম না নিয়ে সপা-র শীর্ষ নেতৃত্বকে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, সমাজবাদী পার্টি থেকে আদর্শ আচরণের আশা করা কঠিন হতে পারে, কিন্তু সভ্য সমাজ তাদের অশোভন ও অশ্লীল বক্তব্য সহ্য করতে পারবে না।
যোগী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন যে, সপা নেতৃত্বকে উচিত তাদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলি পর্যালোচনা করা এবং নিশ্চিত করা যে সেখানকার ভাষা মর্যাদাপূর্ণ, সংযত ও গরিমাপূর্ণ হবে। তার এই ইঙ্গিত স্পষ্ট ছিল যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া নেতিবাচকতা ও গালিগালাজ বন্ধ করতে হবে।
উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যের দ্রুত বক্তব্য
এই বিবাদে উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন যে, এখন ‘পরিবারবাদী সমাজবাদ’ পুরোপুরি ‘লঠৈতবাদে’ পরিণত হয়েছে। মৌর্যের এই বক্তব্যের অর্থ স্পষ্ট ছিল যে, সপার ভিতরে ক্ষমতা ও পারিবারিক রাজনীতি সমাজবাদী আদর্শকে হারিয়ে ফেলেছে।