উদ্ধব ও রাজ ठাকরে-র সম্ভাব্য জোট: আলোচনা তীব্রতর

🎧 Listen in Audio
0:00

উদ্ধব এবং রাজ ठাকরে-র দলের সম্ভাব্য জোটের আলোচনা তীব্রতর হয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য জোটের সম্ভাবনাকে আরও শক্তিশালী করেছে।

মহারাষ্ট্রের রাজনীতি: মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে বর্তমানে ठাকরে পরিবারের দুটি প্রধান রাজনৈতিক শক্তি—উদ্ধব ठাকরের শিবসেনা (UBT) এবং রাজ ठাকরের মানসের সম্ভাব্য জোটের আলোচনা তীব্রতর হয়েছে। সুপ্রিয়া সুলে, অমিত ठাকরে এবং মানসের নেতাদের সাম্প্রতিক প্রতিক্রিয়া এই আলোচনাকে আরও জোরদার করেছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী স্থানীয় নির্বাচনের আগে এই প্রশ্ন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে যে, বহু বছর পর কি ठাকরে ভাইয়েরা একসাথে ফিরে আসবেন?

রাজনৈতিক মহলে জোটের আলোচনা তীব্র

শিবসেনা (UBT) প্রধান উদ্ধব ठাকরে এবং মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (মানস) প্রধান রাজ ठাকরের মধ্যে রাজনৈতিক জোটের সম্ভাবনা আবারও আলোচনায় এসেছে। সম্প্রতি উদ্ধব ठাকরে মিডিয়ার সাথে আলাপচারিতায় ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তিনি এবং তার কর্মীরা মানসের সাথে যোগাযোগে আছেন এবং ভবিষ্যতে সরাসরি যোগাযোগ করবেন। তিনি এটাও বলেছেন যে, আমরা বার্তা নয়, সরাসরি খবর পৌঁছাবো।

সুপ্রিয়া সুলে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন

এনসিপি (শরদ পওয়ার গ্রুপ)-এর সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে এই বিষয়ে বলেছেন যে, গণতন্ত্রে সবার অধিকার আছে কার সাথে রাজনৈতিক সহযোগিতা করতে চান। তিনি মহাভিকাশ আঘাড়ি (MVA)-কে শক্তিশালী করার জন্য সম্ভাব্য জোটকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে, যত বেশি অংশীদার যোগ হবে, জোট ততই শক্তিশালী হবে।

উদ্ধব ठাকরের প্রতিক্রিয়া: কোনো বিভ্রান্তির অবস্থা নেই

উদ্ধব ठাকরে বলেছেন যে, মহারাষ্ট্রের মানুষের মনে যা আছে, তাই হবে। তিনি এটাও স্পষ্ট করেছেন যে, শিবসেনিক এবং মানস কর্মীদের মধ্যে কোনো ধরণের বিভ্রান্তি নেই। সম্প্রতি শিন্ডে গ্রুপের একজন নেতা শিবসেনা (UBT)-তে যোগদানের পর উদ্ধব ठাকরের সাথে জোট নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি উত্তর দেওয়া এড়িয়ে গেলেও ইঙ্গিত অবশ্যই দিয়েছেন।

অমিত ठাকরে খোলা আলোচনার পক্ষে মতামত দিয়েছেন

রাজ ठাকরের ছেলে এবং মানস নেতা অমিত ठাকরেও এই বিষয়ে তাঁর মতামত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, জোটের আলোচনা মিডিয়ার মাধ্যমে নয়, বরং সরাসরি আলাপচারিতার মাধ্যমে হওয়া উচিত। তার মতে, দুই ভাইয়ের কাছে একে অপরের মোবাইল নম্বর আছে, তারা চাইলে ফোনে কথা বলতে পারে।

মানসের পক্ষ থেকে শর্ত এবং পরামর্শ

মানস নেতা প্রকাশ মহাজন বলেছেন যে, যদি শিবসেনা (UBT) জোট নিয়ে গুরুতর হয়, তাহলে অদিত্য ठাকরে এগিয়ে আসা উচিত এবং রাজ ठাকরের সাথে মিলিত হয়ে আলোচনা করা উচিত। তিনি এটাও স্পষ্ট করেছেন যে, আলোচনার জন্য যদি কনিষ্ঠ নেতাকে পাঠানো হয়, তাহলে মানসও একই স্তরের নেতা পাঠাবে।

কখন শুরু হয়েছিল এই আলোচনা?

জোটের আলোচনা তখন জোরদার হয়েছিল যখন রাজ ठাকরে এক বিবৃতিতে বলেছিলেন যে, মারাঠি মানুষের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হওয়া কঠিন নয়। এর জবাবে উদ্ধব ठাকরেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, তিনিও পুরানো কথা ভুলে রাজ্যের স্বার্থে পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।

বিজেপি এবং এনসিপি নেতাদের প্রতিক্রিয়া

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস বলেছেন যে, এটা রাজ ठাকরে এবং উদ্ধব ठাকরের উপর নির্ভর করে যে তারা জোট করতে চান নাকি না। বিজেপির এতে কোনো হস্তক্ষেপ নেই। অন্যদিকে উপমুখ্যমন্ত্রী এবং এনসিপি নেতা অজিত পওয়ারও একই ধরণের মতামত দিয়ে বলেছেন যে, এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরূপে দুই দলের প্রধানের বিশেষাধিকার।

Leave a comment