রাজদ থেকে বহিষ্কারের পর তেজ প্রতাপ যাদব ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনেন এবং বলেন যে ৪-৫ জন ব্যক্তি তার চরিত্র কলঙ্কিত করেছে। তিনি নিরাপত্তার দাবী করেছেন এবং জনসাধারণের কাছে গিয়ে ন্যায়ের দাবী করার কথা বলেছেন।
বিহার রাজনীতি: রাষ্ট্রীয় জনতা দল (রাজদ) থেকে বহিষ্কারের পর তেজ প্রতাপ যাদব পুরো বিষয়টি সর্বসাধারণের সামনে তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন যে তিনি আর চুপ করে বসে থাকবেন না এবং সেই ৪-৫ জন ব্যক্তির নাম প্রকাশ করবেন যারা তার চরিত্র কলঙ্কিত করেছে এবং তার ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করেছে। তেজ প্রতাপের এই বক্তব্য তখন এসেছে যখন দলে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
"আমি ভয় পাই না" - তেজ প্রতাপ
তেজ প্রতাপ যাদব মিডিয়ার সাথে কথা বলে স্পষ্ট করে বলেছেন যে তিনি কারোর কাছ থেকে ভয় পান না। তিনি বলেছেন যে তিনি এখন স্পষ্টভাবে সত্যিটি প্রকাশ করবেন এবং সেই সকল ব্যক্তিকে উন্মোচন করবেন যারা তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তিনি বলেছেন যে এটি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র এবং কিছু লোক ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে দল এবং পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করেছে।
বিহার সরকারের কাছে নিরাপত্তার দাবী
তেজ প্রতাপ দাবী করেছেন যে তার জীবন বিপন্ন। তিনি বিহার সরকারের কাছে তার নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবী জানিয়েছেন। তার বক্তব্য, তিনি গুরুতর বিপদের আশঙ্কা করছেন এবং সরকারকে এ ব্যাপারে দৃষ্টি দেওয়া উচিত।
জনসাধারণের কাছে গিয়ে ন্যায়ের দাবী করবেন
তেজ প্রতাপ আরও বলেছেন যে তিনি এখন সরাসরি জনসাধারণের কাছে যাবেন এবং ন্যায়ের দাবী করবেন। তিনি বলেছেন যে কেউ তার ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ সহ্য করবেন না এবং তাকেও এই বিষয়ে ন্যায় চাই। তিনি ইঙ্গিত করেছেন যে তিনি এই পুরো ঘটনাটি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন।
রাজদ থেকে বহিষ্কারের কারণ
তেজ প্রতাপকে তার নীতিগত এবং ব্যক্তিগত আচরণের কারণে রাজদ থেকে ছয় বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এই বহিষ্কারের পিছনে মূল কারণ হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে করা প্রকাশ্য প্রকাশ বলা হচ্ছে। তেজ প্রতাপ ফেসবুক পোস্টে তার পুরোনো প্রেম কাহিনী শেয়ার করেছিলেন, যেখানে তিনি অনুষ্কা যাদব নামের এক তরুণীর সাথে ১২ বছরের পুরোনো সম্পর্কের কথা বলেছিলেন।
ফেসবুক পোস্ট থেকে উঠেছে বিতর্ক
তেজ প্রতাপের এই পোস্টের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই পড়ে গেছে। দলের কাছে এই বিষয়টি অপ্রীতিকর ছিল এবং লালু যাদব তাকে দল এবং পরিবার উভয় থেকেই বের করে দিয়েছেন। যদিও পরে তেজ প্রতাপ স্পষ্টীকরণ দিয়েছেন যে তার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গিয়েছিল এবং সেই পোস্ট তিনি করেননি। কিন্তু ততক্ষণে দলের সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছিল।
পুরোনো বিতর্কও কারণ হয়ে উঠেছে
এটি প্রথমবার নয় যখন তেজ প্রতাপ যাদব বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। এর আগেও তার বক্তব্য এবং কর্মকাণ্ডের কারণে দল অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিল। মিত্রপক্ষের মধ্যেও তার বক্তব্য নিয়ে অসন্তোষ ছিল। দলের নেতৃত্ব বারবার তার আচরণ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
তেজস্বীকে সমর্থন, শ্রদ্ধা প্রকাশ
যদিও বিতর্কের মাঝে তেজ প্রতাপ তার ছোট ভাই তেজস্বী যাদবের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন যে বড় ভাই হিসেবে তিনি তেজস্বীকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আশীর্বাদ সবসময় দিয়ে যাবেন এবং তার সমর্থন কখনোই শেষ হবে না। পাশাপাশি তিনি তার পিতামাতার প্রতিও শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন।
৪-৫ জনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার প্রস্তুতি
তেজ প্রতাপ বলেছেন যে যারা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে, তাদের বিরুদ্ধে তিনি আইনি লড়াই করবেন। তিনি বলেছেন যে এখন সময় এসেছে তিনি এই ব্যক্তিদের সামনে আনবেন যাতে বিহারের জনগণ সত্যিটি জানতে পারে। যদিও তিনি এখনও কারো নাম প্রকাশ করেননি তবে স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে তিনি শীঘ্রই সবাইকে সামনে আনবেন।