সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়: রাজ্যপালের বিল রোখার অধিকার নেই

🎧 Listen in Audio
0:00

সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যপাল আর এন রবি কে তিরস্কার করে বলেছে যে ১০ টি বিল রোখা অনুচ্ছেদ ২০০-এর লঙ্ঘন, রাজ্যপালের এতে কোনও বিবেচনাধিকার নেই।

SC to Tamil Nadu: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সোমবার একটি ঐতিহাসিক রায়ে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে রাজ্যপাল বিধানসভায় পাশ হওয়া কোনও বিল (Legislative Bill) অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখতে পারবেন না। যদি কোনও বিল পুনরায় বিধানসভায় পাশ হয়ে আসে, তাহলে রাজ্যপালের কাছে তা অনুমোদন করার বিকল্প নেই। এই রায়কে ফেডারেল কাঠামো (Federal Structure) এর শক্তিশালীকরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

অনুচ্ছেদ ২০০-এর ব্যাখ্যায় কোর্ট স্পষ্টতা দিয়েছে

এই রায় তামিলনাড়ু সরকার কর্তৃক দায়ের করা একটি আবেদনের পর এসেছে, যেখানে রাজ্যপাল আর. এন. রবির উপর অভিযোগ আনা হয়েছিল যে তিনি বিধানসভায় পাশ হওয়া ১০ টি বিল বছরের পর বছর আটকে রেখেছেন। সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ, যাতে বিচারপতি জে.বি. পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি আর. মহাদেবন ছিলেন, বলেছেন যে অনুচ্ছেদ ২০০ রাজ্যপালকে ‘ভিটো পাওয়ার’ দেয় না।

বিধেয়ক রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো ‘বিলম্বের মাধ্যম’ নয়

রাজ্যপালের যুক্তি ছিল যে তিনি কিছু বিল রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছেন, যা তাঁর অধিকারের মধ্যে পড়ে। কিন্তু কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে যে যখন কোনও বিল পূর্বের রূপে পুনরায় পাশ হয়ে আসে, তখন তা অনুমোদন করা বাধ্যতামূলক। রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর প্রক্রিয়া সংবিধানের উদ্দেশ্যের বিরুদ্ধে যদি তা কেবলমাত্র বিলম্বের জন্য ব্যবহার করা হয়।

১০ টি বিল সেই তারিখ থেকে অনুমোদিত বলে গণ্য হবে

কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে তামিলনাড়ু বিধানসভায় পুনরায় পাশ হয়ে পাঠানো ১০ টি বিল সেই দিন থেকেই অনুমোদিত বলে গণ্য হবে (Deemed to be Assented) যখন তা পুনরায় রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়েছিল। এই রায়কে শাসন এবং গণতন্ত্র (Governance & Democracy) এর জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এই রায়ের স্বাগত জানিয়ে অনেক সংবিধান বিশেষজ্ঞ এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক এটিকে রাজ্যপালের ভূমিকা এবং দায়িত্ব (Role & Responsibility) স্পষ্ট করে দেওয়া বলে বলেছেন।

Leave a comment