দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীষ সিসোদিয়া ক্লাসরুম নির্মাণ দুর্নীতি মামলায় এসিবির সামনে হাজির হয়েছেন। ২০০০ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সিসোদিয়া নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন।
নতুন দিল্লি: দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীষ সিসোদিয়া আজ দুর্নীতি দমন শাখা (এসিবি)র কার্যালয়ে উপস্থিত হন। সরকারি স্কুলগুলির ক্লাসরুম নির্মাণের সময় প্রায় ২০০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে আনা হয়েছে। এই ঘটনা आम आदमी पार्टी সরকারের আমলে ঘটেছে। এসিবি ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে এফআইআর দায়ের করেছে এবং তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
এসিবির দ্বিতীয় তলব, আজ হাজির সিসোদিয়া
এসিবি ৯ জুন মণীষ সিসোদিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল, কিন্তু সেদিন তিনি উপস্থিত হতে পারেননি। পরে ২০ জুনের জন্য দ্বিতীয় তলব জারি করা হয়, যার প্রেক্ষিতে তিনি আজ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উপস্থিত হন। এসিবি সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় ক্লাসরুম নির্মাণের ব্যয়, টেন্ডার প্রক্রিয়া এবং ঠিকাদারদের দেওয়া কাজের বিস্তারিত তথ্য নেওয়া হচ্ছে।
ঘটনা কোথা থেকে শুরু
এই ঘটনা প্রথমে তখন প্রকাশ্যে আসে যখন প্রতিবেদনে দাবি করা হয় যে দিল্লির সরকারি স্কুলগুলিতে ক্লাসরুম নির্মাণে নির্ধারিত বাজেটের চেয়ে অনেক বেশি ব্যয় হয়েছে। কিছু জায়গায় একই স্কুলে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কক্ষ তৈরি করা হয়েছে, আবার অনেক স্কুলে নির্মাণ কাজ অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। এরপর দিল্লির দুর্নীতি দমন শাখা অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে।
২০০০ কোটি টাকার দুর্নীতি
এই ঘটনায় মণীষ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে প্রায় ২০০০ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ, ক্লাসরুম নির্মাণের টেন্ডার নিয়ম উপেক্ষা করে দেওয়া হয়েছে এবং ঠিকাদারদের স্বচ্ছতার অভাবে কাজ দেওয়া হয়েছে। বিরোধী দল এই বিষয়টি ক্রমাগত তুলে ধরেছে এবং आम आदमी पार्टी সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে।
এসিবির জিজ্ঞাসাবাদের ফোকাস কী?
এসিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের উদ্দেশ্য ক্লাসরুম নির্মাণে সম্ভাব্য অনিয়ম এবং নিয়ম লঙ্ঘনের সত্যতা যাচাই করা। সিসোদিয়াকেও জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে টেন্ডারে কোন মানদণ্ড পালন করা হয়েছে এবং এই প্রক্রিয়ায় কোন কর্মকর্তার ভূমিকা ছিল। এসময় এসিবি ক্লাসরুম নির্মাণের পরিকল্পনা, বাজেট, অনুমোদন এবং বাস্তবায়নের সাথে সম্পর্কিত অনেক দলিলও চেয়েছে।
সিসোদিয়ার প্রতিক্রিয়া
জিজ্ঞাসাবাদের আগে মিডিয়ার সাথে আলাপচারিতায় মণীষ সিসোদিয়া নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, দিল্লির সরকারি স্কুলগুলিতে শিক্ষাব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য তিনি আন্তরিকতার সাথে কাজ করেছেন এবং যদি কোন তদন্ত চলে, তাহলে তিনি তার মোকাবেলা করবেন। তিনি বলেছেন, এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তাঁকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মণীষ সিসোদিয়া ইতিমধ্যেই দিল্লি মদনীতি দুর্নীতি মামলায় ন্যায়িক হেফাজতে আছেন। এবার ক্লাসরুম দুর্নীতি মামলায়ও তদন্ত তীব্র হওয়ায় তাঁর জন্য আইনগত সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
