সুপ্রিম কোর্ট: কর্তৃপক্ষের কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগ, রাষ্ট্রপতিকে নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা নেই

সুপ্রিম কোর্ট: কর্তৃপক্ষের কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগ, রাষ্ট্রপতিকে নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা নেই
সর্বশেষ আপডেট: 21-04-2025

সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষের কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগে মন্তব্য করেছে। বিচারপতি বি আর গাভাই বলেছেন— আমরা রাষ্ট্রপতিকে নির্দেশ দিতে পারি না, আমরা ইতোমধ্যেই সমালোচনার সম্মুখীন।

দিল্লি সংবাদ: ন্যায়পালিকা ও কর্তৃপক্ষের মধ্যে বর্ধমান সংঘাত রাজনৈতিক উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি আর গাভাই এ ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন, যিনি আগামী মাসে প্রধান বিচারপতির পদে আসীন হতে চলেছেন। পশ্চিমবঙ্গ হিংসার ওপর শুনানির সময় গাভাই বলেছেন যে, ন্যায়পালিকা কর্তৃপক্ষের কাজে হস্তক্ষেপ করবে না।

পশ্চিমবঙ্গ হিংসার ওপর শুনানি

সুপ্রিম কোর্টে পশ্চিমবঙ্গে চলমান হিংসার বিরুদ্ধে একটি আবেদন দায়ের করা হয়েছিল, যেখানে আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন হিংসা নিয়ন্ত্রণের জন্য অর্ধসামরিক বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছিলেন। এরপর তিনি আদালতের কাছে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করার এবং হিংসার তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিতে অনুরোধ করেছিলেন।

সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য: হস্তক্ষেপের অভিযোগ

সুপ্রিম কোর্ট এই আবেদনের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিচারপতি বি আর গাভাই বলেছেন, "আপনারা কি চান আমরা রাষ্ট্রপতিকে নির্দেশ দিই?" তিনি আরও বলেছেন, "আমাদের উপর ইতোমধ্যেই কর্তৃপক্ষের কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনা হয়েছে।"

ন্যায়পালিকার রায়ের প্রতি বিজেপি নেতাদের প্রতিক্রিয়া

বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, "যদি সুপ্রিম কোর্ট সকল সিদ্ধান্ত নেয়, তবে সংসদ ভবন বন্ধ করে দেওয়া উচিত।" তার এই বক্তব্য বিতর্কের জন্ম দিয়েছে এবং অনেক বিরোধী নেতা নিশিকান্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি সরকারী দলের নেতাদের উপর

সুপ্রিম কোর্ট এই পুরো বিষয়টি লক্ষ্য করে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, ন্যায়পালিকাকে কর্তৃপক্ষের কাজে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। বিচারপতি গাভাই বলেছেন যে, সরকারী দলের নেতাদের দেওয়া বক্তব্যের ওপর আদালতের পুরো নজর রয়েছে।

পুরো ঘটনা কি ছিল?

এর আগে সুপ্রিম কোর্ট তামিলনাড়ু সরকারের আবেদনের ওপর শুনানি করে রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালকে নির্দেশ দিয়েছিল যে, তারা কোনও বিল অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখতে পারবে না। এই নির্দেশের পর বিজেপি নেতারা এতে আপত্তি জানিয়েছিলেন।

Leave a comment