শশি থরুর ট্রাম্পের দাবিকে নাকচ করে দিলেন। তিনি বলেন, ভারত কখনো আমেরিকার কাছে মধ্যস্থতা চায়নি। এস জয়শঙ্কর অন্যান্য দেশের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন, এটি সাধারণ কূটনীতি।
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্প্রতি স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি (India-Pakistan Ceasefire Agreement) সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। এর কারণ হলো আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) দাবি, যেখানে তিনি বলেছেন আমেরিকার মধ্যস্থতায় এই যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়েছে। কিন্তু ভারত এই দাবিকে স্পষ্টভাবে নাকচ করে দিয়েছে।
ট্রাম্পের দাবি: আমেরিকার কারণে যুদ্ধবিরতি?
ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘Truth Social’ এ লিখেছেন যে, আমেরিকার সহায়তায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনার পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি হয়েছে। ট্রাম্প এই চুক্তিকে আমেরিকার ‘সাফল্য’ বলে অভিহিত করেছেন এবং উভয় দেশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
শশি থরুর ট্রাম্পকে তীব্র জবাব দিলেন
কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন বিদেশ রাষ্ট্রমন্ত্রী শশি থরুর (Shashi Tharoor) ট্রাম্পের এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে, ভারত কখনো তৃতীয় কোনো দেশের কাছে মধ্যস্থতা (Mediation) চায়নি।
থরুর বলেন, "এই দাবি সম্পূর্ণ ভুল যে আমেরিকা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা করেছে। এটি একটি সাধারণ কূটনৈতিক (Diplomatic) প্রক্রিয়া ছিল, যেখানে উভয় দেশ অন্যান্য দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে যোগাযোগ করেছিল। এটিকে মধ্যস্থতা বলা ভারতের পররাষ্ট্রনীতির অপমান।"
জয়শঙ্কর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন
শশি থরুর আরও জানান যে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর (S. Jaishankar) ক্রমাগত আমেরিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে যোগাযোগ করেছেন। একইভাবে পাকিস্তানও ওইসব দেশের সাথে যোগাযোগ করেছিল।
এটি একটি সাধারণ কূটনৈতিক প্রক্রিয়া (Diplomatic Communication), যেখানে উভয় পক্ষ বিশ্বব্যাপী তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে। এটিকে কোনোভাবেই ‘মধ্যস্থতা’ বলা যায় না।
ভারতের কঠোর জবাব, তারপর যুদ্ধবিরতি
৭ মে ভারত অপারেশন সিন্দুর (Operation Sindoor) এর অধীনে পাকিস্তান ও অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত ৯টি সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে তীব্র সামরিক অভিযান চালিয়েছিল। এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ভারতের উপর ৪০০-র বেশি ড্রোন দিয়ে আক্রমণ করেছিল, যা ভারতীয় বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যর্থ করে দিয়েছিল।
এই সামরিক উত্তেজনা পরে ভারত আবারও পাকিস্তানকে কঠোর জবাব দিয়েছিল। পাকিস্তান যখন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন যুদ্ধবিরতির সুযোগ আসে।