সোনা পাচার মামলায় গ্রেফতার অভিনেত্রী রান্যা রাওয়ের আইপিএস পিতা তদন্তের আওতায়। কর্ণাটক সরকার তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে, বিমানবন্দর সুবিধার অপব্যবহারের অভিযোগ।
Ranya Rao: কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাওয়ের গ্রেফতারির পর তাঁর সৎপিতা এবং জ্যেষ্ঠ আইপিএস কর্মকর্তা রামচন্দ্র রাও এখন তদন্তের আওতায় চলে এসেছেন। কর্ণাটক সরকার তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ জারি করেছে। সরকার এই ঘটনার তদন্তের জন্য অতিরিক্ত মুখ্য সচিব (ACS) গৌরব গুপ্তাকে নিয়োগ করেছে, যিনি পুরো ঘটনাক্রমের তদন্ত করবেন।
ডিজিপি র্যাংকের কর্মকর্তা হলেন রামচন্দ্র রাও
রামচন্দ্র রাও কর্ণাটক রাজ্য পুলিশ আবাসন ও অবকাঠামো উন্নয়ন নিগমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তাঁর উপর অভিযোগ রয়েছে যে, তাঁর পদস্থানের কারণে তাঁর সৎকন্যা রান্যা রাও বিমানবন্দরে ভিআইপি প্রোটোকলের অপব্যবহার করেছেন। সরকার এই ঘটনায় তাঁর ভূমিকারও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
CID করবে কর্মকর্তাদের অবহেলার তদন্ত
মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, বিমানবন্দরে পুলিশ কর্মকর্তাদের অবহেলারও তদন্ত হবে। এই দায়িত্ব CID কে দেওয়া হয়েছে। সরকারের দাবি, যখন রান্যা রাও দুবাই থেকে সোনা নিয়ে এসেছিলেন, তখন বিমানবন্দরে থাকা নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাদের কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করেননি, যার ফলে তিনি ভিআইপি সুবিধার সুযোগ পেয়েছিলেন।
এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে হবে
তদন্তকারী কর্মকর্তা গৌরব গুপ্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিবেন। তদন্তের পরিসর হবে রান্যা রাও কি তাঁর পিতার ভিআইপি সুবিধা ব্যবহার করে অবৈধভাবে সোনা পাচার করেছিলেন তা দেখা। সরকার পুলিশ মহাপরিদর্শক (DGP) এবং কর্মী ও প্রশাসনিক সংস্কার বিভাগের সচিবকে তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছে।
রান্যা রাও করেছেন প্রোটোকলের অপব্যবহার
আদেশে আরও বলা হয়েছে যে, অভিনেত্রী রান্যা রাও তাঁর আইপিএস পিতার প্রোটোকল সুবিধার সুযোগ নিয়েছেন এবং তাঁর নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে তদন্তকারী সংস্থাগুলি এড়ানোর চেষ্টা করেছেন। বিমানবন্দরে কর্মরত কর্মকর্তারাও তাঁর বিশেষ তদন্ত করেননি, যার ফলে প্রশ্ন উঠছে যে, কি তিনি কোনও অভ্যন্তরীণ সাহায্যের সুযোগ পেয়েছিলেন।
১২.৫৬ কোটি টাকার সোনা জব্দ
উল্লেখ্য, ৩ মার্চ বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাজস্ব গোপন বিভাগ (DRI) ১২.৫৬ কোটি টাকার সোনার বাড়ির সাথে রান্যা রাওকে গ্রেফতার করেছিল। পরের দিন তাঁর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়, যেখান থেকে ২.০৬ কোটি টাকার সোনার আভরণ ও নগদ অর্থ জব্দ করা হয়। এখন এই পুরো ঘটনার তদন্ত DRI ছাড়াও CBI করছে।