রাজা রঘুবংশী হত্যা মামলা: স্ত্রী ও প্রেমিকের বিরুদ্ধে নারকো টেস্টের দাবী

🎧 Listen in Audio
0:00

রাজা রঘুবংশী হত্যা মামলায় পরিবার স্ত্রী সোনম ও প্রেমিক রাজ কুশওয়াহার উপর নারকো টেস্টের দাবী করেছে। অভিযোগ, দুজনেই পুলিশকে বিভ্রান্ত করছে। আদালতের অনুমতির অপেক্ষা।

Raja Raghuvanshi Murder Case: ইন্দোরের পরিবহন ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশীর হত্যা মামলায় নতুন মোড় এসেছে। পীড়িত পরিবার মূল অভিযুক্ত সোনম ও রাজ কুশওয়াহার উপর নারকো টেস্ট করানোর দাবী করেছে। রাজার বড় ভাই সচিন রঘুবংশী জানিয়েছেন, যতক্ষণ না এই অভিযুক্তদের নারকো অ্যানালিসিস করা হয়, ততক্ষণ সত্য সামনে আসবে না। তাঁর ধারণা, অভিযুক্তরা পুলিশকে বিভ্রান্ত করছে এবং নারকো টেস্টের মাধ্যমেই ষড়যন্ত্রের আসল রহস্য উন্মোচিত হবে।

কী ঘটেছে?

২৯ বছর বয়সী রাজা রঘুবংশীর হত্যা মে মাসে মেঘালয়ের একটি পর্যটন স্থলে ঘটেছিল, যখন তিনি স্ত্রী সোনমের সাথে হানিমুনে গিয়েছিলেন। এই ঘটনা তখন শিরোনামে উঠে আসে যখন তদন্তে জানা যায় যে এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে রয়েছে রাজার স্ত্রী সোনম এবং তার প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা। পুলিশ এখন পর্যন্ত এই মামলায় পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে, যাদের মধ্যে সোনম, রাজ এবং তিনজন সহযোগী রয়েছে।

কীভাবে হত্যার ষড়যন্ত্র রচিত হয়েছিল?

পুলিশ তদন্তে জানা গেছে, সোনম ও রাজ কুশওয়াহার মধ্যে আগে থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং বিবাহের পরও তাদের যোগাযোগ ছিল। রাজার হত্যার পরিকল্পনা দুজনে মিলে করেছিল। এজন্য রাজ তিনজনকে টাকা দিয়ে মেঘালয়ে পাঠিয়েছিল, যেখানে রাজার হত্যা করা হয়। পুলিশের মতে, এটি পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ছিল এবং এর পিছনে আর্থিক লাভ এবং ব্যক্তিগত সম্পর্ক উভয় কারণই কাজ করেছিল।

পরিবারের ক্ষোভ ও নারকো টেস্টের দাবী

রাজার ভাই সচিন রঘুবংশী মিডিয়ার সাথে কথোপকথনে জানিয়েছেন, সোনম ও রাজ পুলিশকে বিভ্রান্ত করছে। তিনি বলেছেন, দুই অভিযুক্তই অনেক তথ্য গোপন করছে এবং সত্য জানার জন্য নারকো টেস্ট প্রয়োজন। তাঁর আরও দাবি, হত্যার ষড়যন্ত্রে আরও লোক জড়িত থাকতে পারে, যাদের নাম নারকো টেস্টের পরেই সামনে আসতে পারে।

পুলিশের এখন পর্যন্ত কার্যকলাপ

এখন পর্যন্ত তদন্তে পুলিশ পাঁচজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। কিন্তু পরিবারের ধারণা, কেবলমাত্র এই গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সত্য সামনে আসবে না। পুলিশ স্পষ্ট করেছে যে নারকো টেস্টের মতো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি কেবলমাত্র আদালতের অনুমতি নিয়েই করা যাবে। যদি পীড়িত পক্ষ এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক আবেদন করে, তাহলে প্রক্রিয়াটি এগিয়ে নেওয়া যাবে।

সোনম ও রাজের বাড়তে পারে ঝুঁকি

আদালত যদি নারকো টেস্টের অনুমতি দেয়, তাহলে সোনম ও রাজ কুশওয়াহার ঝুঁকি বাড়তে পারে। নারকো টেস্ট এমন একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, যেখানে ব্যক্তিকে এক ধরণের ওষুধ দেওয়া হয়, যার ফলে সে মিথ্যা বলতে পারে না। যদি এই টেস্টে দুজনেই ষড়যন্ত্রের সত্যতা স্বীকার করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ আরও শক্তিশালী হবে এবং তাদের কঠোর শাস্তির সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবী

সচিন রঘুবংশী এও দাবী করেছেন, এই মামলার শুনানি দ্রুত বিচার আদালতে করা উচিত যাতে পীড়িত পরিবার দ্রুত ন্যায়বিচার পায়। তিনি বলেছেন, দোষীদের দ্বিগুণ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া উচিত, কারণ এটি কেবলমাত্র একজন মানুষের হত্যা নয়, বরং বিশ্বাসঘাতকতা এবং পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রও।

Leave a comment