রাজ ठাকরে: ठাকরে-পাওয়ার ব্র্যান্ড নির্মূল করা সম্ভব নয়

🎧 Listen in Audio
0:00

রাজ ठাকরে বড়ো বক্তব্য দিয়ে বললেন যে, মহারাষ্ট্রের রাজনীতি থেকে ठাকরে-পাওয়ার ব্র্যান্ডকে নির্মূল করার চেষ্টা চলছে, কিন্তু এটা সম্ভব নয়। মারাঠি আত্মসম্মানের লড়াই এগিয়েও চলবে।

Maharashtra News: মহারাষ্ট্রের রাজনীতি আবারও উত্তাল হয়ে উঠেছে, এবং এবার আলোচনায় রয়েছেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (MNS)-এর প্রধান রাজ ठাকরে। একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ ठাকরে বড়ো বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে, মহারাষ্ট্রের রাজনীতি থেকে ठাকরে ও পাওয়ার ব্র্যান্ডকে নির্মূল করার চেষ্টা চলছে, কিন্তু এই ব্র্যান্ড নির্মূল হবে না। তার এই বক্তব্য রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে এবং অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

ठाकरे-পাওয়ার ব্র্যান্ডের উপর বিপদ?

‘মুম্বই তক’-এর একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে আলোচনার সময় রাজ ठাকরে বলেছেন যে, যখনই মহারাষ্ট্রের রাজনীতির কথা আসে, তখন দুটি বড়ো নাম সবার আগে মনে আসে – ठাকরে ও পাওয়ার। এই দুটি উপাধি দীর্ঘদিন ধরে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে একটি আলাদা পরিচয় তৈরি করেছে। কিন্তু এখন কি এই দুটি ব্র্যান্ডকে নির্মূল করার চেষ্টা চলছে? এই প্রশ্নের উত্তরে রাজ ठাকরে বলেছেন, "এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, ठাকরে-পাওয়ার ব্র্যান্ডকে নির্মূল করার চেষ্টা চলছে। অবশ্যই চলছে। কিন্তু এটি নির্মূল হবে না।" রাজ ठাকরের এই বক্তব্য সরাসরি বিজেপিকে লক্ষ্য করে বলে মনে হয়েছে, যদিও তিনি কোনও দলের নাম করেননি।

ठाकरे-পাওয়ার ব্র্যান্ডের অর্থ কি?

মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ठাকরে ও পাওয়ার উপাধি শুধুমাত্র পরিবারের নাম নয়, বরং এটি একটি আদর্শ, একটি সংগ্রাম এবং মারাঠি আত্মসম্মানের প্রতীক। ठাকরে পরিবার শিবসেনার মাধ্যমে মহারাষ্ট্রে মারাঠি জনগণের স্বার্থের পক্ষে কথা বলেছে, অন্যদিকে শরদ পাওয়ার রাষ্ট্রীয় কংগ্রেস পার্টি (NCP)-এর মাধ্যমে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নিজের আলাদা স্থান করে নিয়েছে। রাজ ठাকরে স্পষ্ট করে বলেছেন যে, এই ব্র্যান্ডকে দুর্বল করার জন্য যতই চেষ্টা করা হোক না কেন, ठাকরে-পাওয়ার ব্র্যান্ডকে নির্মূল করা যাবে না।

হিন্দি ভাষা নিয়েও মুখ খুললেন

রাজ ठাকরে হিন্দি ভাষা নিয়েও মহারাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। নতুন শিক্ষানীতি (NEP)-এর অধীনে স্কুলে হিন্দি ভাষাকে বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাবে রাজ ठাকরে বিরোধিতা করেছেন। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, মহারাষ্ট্রে এই নীতি প্রযোজ্য হবে না। তার এই প্রতিবাদে সরকারকেও পিছিয়ে যেতে হয়েছে এবং হিন্দিকে তৃতীয় বাধ্যতামূলক ভাষা করার সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে। রাজ ठাকরের এই পদক্ষেপে মারাঠি আত্মসম্মানের রাজনীতিতে আবারও বল মিলেছে এবং তিনি এই বার্তা দিতে চেয়েছেন যে, মহারাষ্ট্রে স্থানীয় ভাষা ও সংস্কৃতিকে দমন করা যাবে না।

কি রাজ ठাকরে ও উদ্ধব ठাকরে আবার একসাথে ফিরবেন?

মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে এখন আরেকটি আকর্ষণীয় আলোচনা চলছে – কি উদ্ধব ठাকরে ও রাজ ठাকরে আবার একসাথে ফিরে আসতে পারেন? দীর্ঘদিন ধরে আলাদা পথে চলা এই দুই ठাকরে নেতা এখন আবার এক মঞ্চে আসার সম্ভাবনাকে নিয়ে আলোচনায় রয়েছেন। রাজ ठাকরে ও উদ্ধব ठাকরে দুজনেই এ ব্যাপারে ইতিবাচক বক্তব্য দিয়েছেন। উদ্ধব ठাকরের দল শিবসেনা (UBT)ও স্পষ্ট করে বলেছে যে, যদি রাজ ठাকরে বিজেপি ও একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী থেকে দূরত্ব বজায় রাখেন, তাহলে তাদের সাথে আসতে কোনো সমস্যা নেই। ‘সামনা’-তে প্রকাশিত লেখার মতে, ठাকরে ভাইদের একত্রিত হওয়ার সম্ভাবনায় বিরোধীদের মনে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

‘সামনা’ এটাও বলেছে যে, রাজ ठাকরে সবসময় মারাঠি জনগণের সমস্যা তুলে ধরেছেন, এবং শিবসেনারও এটাই পরিচয়। এই অবস্থায় যদি দুই নেতার মধ্যে মতবিরোধ মিটে যায়, তাহলে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে বড়ো পরিবর্তন দেখা যেতে পারে।

Leave a comment