প্রধানমন্ত্রী মোদীর সিকিম সফর: ৫০ বছর পূর্ণ হওয়ার উপলক্ষে উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন

🎧 Listen in Audio
0:00

প্রধানমন্ত্রী মোদী গ্যাংটক এ পৌঁছেছেন, সিকিমের ভারতে বিলয়ের ৫০ বছর পূর্ণ হওয়ার উপলক্ষে। তিনি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন, স্মারক মুদ্রা এবং ডাকটিকিট উন্মোচন করেছেন। রাজ্যে ব্যাপক আয়োজন করা হয়েছিল।

PM Modi Visit: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ সিকিমের ঐতিহাসিক দিনে গ্যাংটকে উপস্থিত থাকবেন। এই অনুষ্ঠান সিকিমের ভারতে বিলয়ের ৫০ বছর পূর্ণ হওয়ার উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছে। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী মোদী সিকিমবাসীকে বহু উন্নয়ন প্রকল্পের উপহার দেবেন এবং রাজ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাও করবেন।

সিকিমের ভারতে বিলয়ের ৫০ বছর

১৬ মে ১৯৭৫ সালে সিকিম ভারতে বিলীত হয়েছিল এবং তখন থেকে প্রতি বছর ১৬ মে সিকিম রাজ্য দিবস হিসেবে পালিত হয়। এ বছর সিকিমের ভারতে অন্তর্ভুক্তির ৫০তম বার্ষিকী, যা "স্বর্ণজয়ন্তী" হিসেবে ব্যাপক উৎসাহের সাথে পালিত হচ্ছে। এই উপলক্ষকে বিশেষ করে তুলতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকে পৌঁছেছেন।

প্রধানমন্ত্রী মোদীর কর্মসূচী

গ্যাংটকের পালজোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত প্রধান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী অংশগ্রহণ করবেন। এই অনুষ্ঠানে মোদী বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করবেন। এর মধ্যে রয়েছে:

  • নামচিতে ৫০০-শয্যার সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল, যার ব্যয় ৭৫০ কোটি টাকার বেশি।
  • গ্যালশিং জেলার পলিং সাংগাচোলিংয়ে পর্যটক রোপওয়ে প্রকল্প।
  • গ্যাংটকের সাংখোলায় অটল অমৃত উদ্যানে ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রতিমার উন্মোচন।

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী মোদী সিকিমের জন্য ডাকটিকিট এবং স্মারক মুদ্রাও উন্মোচন করবেন। এই অনুষ্ঠান "সোনালী সমৃদ্ধ ও সমর্থ সিকিম" থিমের আওতায় সারা বছর ধরে চলমান অনুষ্ঠানের একটি অংশ হিসেবে আয়োজিত হচ্ছে।

সিকিমের ভারতে বিলয়

সিকিম একসময় একটি স্বাধীন রাজ্য ছিল, যেখানে নামগ্যাল রাজবংশের শাসন ছিল। ১৯৭০-এর দশকে সিকিমে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল। জনগণের দাবিতে ১৯৭৩ সালে বিধানসভা নির্বাচন করার ঘোষণা করা হয়, যার পর ১৯৭৪ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে সিকিম কংগ্রেস ৩২টির মধ্যে ৩১টি আসনে জয়লাভ করে এবং দোরজি কাজী প্রমুখ নেতারা গণতন্ত্রের দিকে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

ভারতের সাথে বিলয় নিয়ে সিকিম বিধানসভা প্রস্তাব পাশ করে, কিন্তু সিকিমের রাজা এর বিরোধিতা করেন। এর পর সেনা ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং রাজাকে তাঁর প্রাসাদে বন্দী করে রাখা হয়। এরপর জনমত সমীক্ষা করা হয়, যেখানে প্রায় ৯৭% মানুষ ভারতের সাথে বিলয়ের পক্ষে ভোট দেন। এরপর সিকিমকে ভারতের ২২তম রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

সিকিমের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী মোদীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

প্রধানমন্ত্রী মোদী সর্বদা উত্তর-পূর্বের উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছেন। সাম্প্রতিক একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী মোদী সিকিমবাসীকে রাজ্য দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, "সিকিম মৃদু সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং পরিশ্রমী জনগণের দেশ। এই রাজ্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি করছে।"

প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে সিকিমকে অবকাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা, পর্যটন এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে বহু পরিকল্পনা চালু করা হচ্ছে।

Leave a comment