নোয়েডা কর্তৃপক্ষের জমি প্রতিশ্রুতি: কৃষকদের ২০% দাবিতে নতুন সংকট

নোয়েডা কর্তৃপক্ষের জমি প্রতিশ্রুতি: কৃষকদের ২০% দাবিতে নতুন সংকট
সর্বশেষ আপডেট: 31-01-2025

নোয়েডা কর্তৃপক্ষ কৃষকদের সাথে করা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, তাদের ৫% উন্নত জমি দিতে ব্যর্থ হয়েছে, যার পর কৃষকরা তাদের দাবী আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন কৃষকদের নতুন দাবী ২০% উন্নত জমি। এই বিষয় নিয়ে যুক্ত কৃষক মোর্চার তিনটি প্রধান দাবী রয়েছে, যা পূরণ করা নোয়েডা কর্তৃপক্ষের জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছে।

নতুন দিল্লি: নোয়েডা কর্তৃপক্ষ কৃষকদের সাথে করা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের ৫% উন্নত জমি দিতে ব্যর্থ হয়েছে, যার ফলে এখন কৃষকরা তাদের দাবী ২০% উন্নত জমি পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে। যুক্ত কৃষক মোর্চা তিনটি প্রধান দাবী উত্থাপন করেছে, যা নোয়েডা, গ্রেটার নোয়েডা এবং যমুনা কর্তৃপক্ষের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।

কৃষকরা নোয়েডা কর্তৃপক্ষের কাছে তিনটি দাবী উত্থাপন করেছে

কৃষকদের তিনটি প্রধান দাবী ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত অধিগ্রহণ করা জমির বিনিময়ে, যার মধ্যে প্রথম, সমস্ত কৃষকদের ১০% অতিরিক্ত উন্নত জমি দেওয়ার দাবী। দ্বিতীয়, ৬৪.৭% অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক, যাতে জমি অধিগ্রহণের বিনিময়ে কৃষকরা সঠিক এবং সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ পায়। তৃতীয়, নতুন জমি অধিগ্রহণ আইন অনুযায়ী চারগুণ ক্ষতিপূরণের দাবী, যাতে কৃষকরা তাদের জমির প্রকৃত মূল্যের যথাযথ পরিশোধ পায়। এছাড়াও, কৃষকরা তাদের পক্ষে হাইপাওয়ার কমিটি কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্তটি অবিলম্বে কার্যকর করার দাবী করেছে।

জানা গেছে যে, নোয়েডা কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৬৫০০ কৃষককে ৫% উন্নত জমি দেওয়ার দাবি করেছে। তবে, ৬০৭০ কৃষক এখনও পর্যন্ত ৫% জমি পাননি, যার ফলে কৃষকদের মধ্যে অসন্তোষ ও রাগ বাড়ছে। এই পরিস্থিতি নোয়েডা কর্তৃপক্ষের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ এই দাবীগুলি পূরণ করা তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।

কর্তৃপক্ষ জমি বরাদ্দে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে

নোয়েডা কর্তৃপক্ষ অবৈধ দখলের কথা উল্লেখ করে কৃষকদের ৫% উন্নত জমি দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তবে, হাইপাওয়ার কমিটি তাদের প্রতিবেদনে সরকারকে স্পষ্ট করে বলেছে যে, অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে নোয়েডা কর্তৃপক্ষকে দুই মাসের মধ্যে কৃষকদের ৫% উন্নত জমি দিতে হবে। এই প্রতিবেদনে এও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে, যেসব এলাকায় অবৈধ দখল রয়েছে সেখান থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে জমির পুনঃউন্নয়ন করা হোক।

এদিকে, ৫৭ জন কৃষককে দীপাবলির ঠিক আগে নোয়েডা কর্তৃপক্ষের সিইও ডাঃ লোকেশ এম কর্তৃক ইন্দিরা গান্ধী কলা কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ৫% উন্নত জমির বরাদ্দপত্র দেওয়া হয়েছিল। তবে, বাকি কৃষকদের জমি দেওয়ার জন্য জমির সন্ধান এখনও সম্পূর্ণ হয়নি, যার ফলে কৃষকদের মধ্যে অসন্তোষ ও ক্ষোভ বজায় রয়েছে।

কি ঘটনা?

যুক্ত কৃষক মোর্চা কর্তৃক নতুন জমি অধিগ্রহণ আইনের আওতায় জমি অধিগ্রহণের দাবী নোয়েডা, গ্রেটার নোয়েডা এবং যমুনা কর্তৃপক্ষের সমস্যা বাড়িয়ে দিয়েছে। এই আইন অনুযায়ী, যদি কর্তৃপক্ষকে জমি অধিগ্রহণ করতে হয়, তবে তাদের কৃষকদের চারগুণ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, পাশাপাশি ২০% উন্নত জমিও দিতে হবে। এই পরিস্থিতি কর্তৃপক্ষের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, কারণ এটি পূরণ করার জন্য তাদের কাছে পর্যাপ্ত সম্পদ এবং জমি নেই।

এছাড়াও, ভারতীয় কৃষক পরিষদের নেতৃত্বে ২০১৯ সাল থেকে চলা দাবীর আওতায় সমস্ত কৃষকদের ১০% অতিরিক্ত জমি দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, যা নোয়েডা কর্তৃপক্ষ ২০০৫ সালের বোর্ড বৈঠকে অনুমোদন দিয়েছিল। প্রথম পর্যায়ে, যাদের কাছে জমি ছিল না তাদের কাছে এর মূল্য (২২০০০ টাকা প্রতি বর্গমিটার) সমপরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়েছিল। গত সপ্তাহে ১৩ জন কৃষককে ৫% অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১.২৯ কোটি টাকার চেক দেওয়া হয়েছিল।

তবে, নোয়েডা-তে ২৩ হাজারের বেশি কৃষককে আগে ১০% অতিরিক্ত জমি দেওয়ার অবস্থায় কর্তৃপক্ষকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, যা থেকে স্পষ্ট যে ২০% উন্নত জমি এবং চারগুণ ক্ষতিপূরণের মতো দাবী পূরণ করা তাদের জন্য একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ হবে।

Leave a comment