পাকিস্তানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ: ভারতীয় সেনাবাহিনী ব্যর্থ করে দিয়েছে

🎧 Listen in Audio
0:00

পাকিস্তান সোনার মন্দিরকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের লক্ষ্য করেছিল, কিন্তু ভারতীয় সেনাবাহিনী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দিয়ে সকল আক্রমণ ব্যর্থ করে দিয়েছে, কোন ক্ষতি হয়নি।

সোনার মন্দির: ভারতীয় সেনাবাহিনী আবারও পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেশের নিরাপত্তায় কোনো ত্রুটি হতে পারে না তা প্রমাণ করেছে। সম্প্রতি অপারেশন সিন্দুরের পরে উন্মত্ত পাকিস্তান অমৃতসরস্থ সোনার মন্দির সহ পাঞ্জাবের অনেক শহরকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণের লক্ষ্য করেছিল, কিন্তু ভারতীয় সেনাবাহিনীর এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম একটিও ক্ষেপণাস্ত্রকে তার লক্ষ্যে পৌঁছতে দেয়নি।

অপারেশন সিন্দুরের পরে উন্মত্ত পাকিস্তান

পাকিস্তান অপারেশন সিন্দুরের প্রতিশোধ হিসেবে এই আক্রমণ করেছিল, যেখানে ভারত পাকিস্তান ও পিওকেতে অবস্থিত সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিকে নির্ভুল লক্ষ্যবস্তু করে ধ্বংস করেছিল। ভারতের এই আক্রমণে লাশ্কর-ই-তৈয়বা ও জইশ-ই-মোহাম্মদ-এর মতো সংগঠনের অনেক বড় ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছিল। এই ঘটনার জেরে উন্মত্ত পাকিস্তান ৮ই মে সকালে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভারতের উপর আকাশপথে আক্রমণ করেছিল।

সোনার মন্দির ছিল প্রধান লক্ষ্যবস্তু

ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৫তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (GOC) মেজর জেনারেল কর্তিক সি. শেশাদ্রী জানিয়েছেন, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আসা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের প্রধান লক্ষ্যবস্তু ছিল সোনার মন্দির। সেনাবাহিনী আগে থেকেই ধারণা করেছিল যে ধর্মীয় স্থান ও আবাসিক এলাকাকে লক্ষ্য করা হতে পারে, তাই আগে থেকেই সোনার মন্দিরের চারপাশে এয়ার ডিফেন্স কভার জোরদার করা হয়েছিল।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া

মেজর জেনারেল শেশাদ্রীর মতে, আক্রমণের আগে থেকেই ভারতীয় সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ সতর্ক ছিল। পাকিস্তান যখনই ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন পাঠিয়েছিল, এয়ার ডিফেন্স গানাররা তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিয়ে সকল আকাশাস্ত্রকে আকাশেই ধ্বংস করে দিয়েছিল। এই আক্রমণে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং L-70 এয়ার ডিফেন্স গান ব্যবহার করা হয়েছিল।

তিনি জানিয়েছেন, “আমরা একটিও ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোনকে তার লক্ষ্যে পৌঁছতে দেইনি। সোনার মন্দিরকে সম্পূর্ণ নিরাপদে রাখা হয়েছে এবং পাকিস্তানের দুষ্ট পরিকল্পনা সম্পূর্ণ ব্যর্থ করা হয়েছে।”

লাইভ ডেমোতে এয়ার ডিফেন্সের কার্যক্ষমতা প্রদর্শন

আক্রমণের পর ভারতীয় সেনাবাহিনী একটি লাইভ ডেমোর আয়োজন করেছিল, যেখানে দেখানো হয়েছিল কিভাবে সেনাবাহিনী পাকিস্তানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনগুলিকে আটকে আকাশেই ধ্বংস করে দিয়েছিল। এই ডেমোতে সেনাবাহিনীর প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও প্রস্তুতি স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল।

ভারতের দায়িত্বশীল অবস্থান

মেজর জেনারেল শেশাদ্রী স্পষ্ট করে বলেছেন যে ভারতীয় সেনাবাহিনী একটি দায়িত্বশীল বাহিনী এবং উস্কানি ছাড়া কখনোই আক্রমণ করে না। অপারেশন সিন্দুরের সময়ও আমরা কেবলমাত্র সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করেছি, কোনো পাকিস্তানি সামরিক ঘাঁটি বা সাধারণ নাগরিককে ক্ষতি করা হয়নি। অন্যদিকে পাকিস্তান প্রতিশোধের भावनाয় কোনো বৈধ লক্ষ্য ছাড়াই ভারতের ধর্মীয় স্থানগুলিকে লক্ষ্য করেছে।

তিনি বলেছেন, “পাকিস্তানের কাছে ভারতের সাথে লড়াই করার ক্ষমতাও নেই এবং সাহসও নেই। তারা জাতীয় নীতি হিসেবে সন্ত্রাসবাদ ব্যবহার করে এবং তাদের কার্যকলাপ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আগে থেকেই উন্মোচিত হয়েছে।”

Leave a comment