পাহলগাঁও হামলার প্রতিশোধ: মোদীর কঠোর সতর্কতা, সেনাবাহিনীকে দেওয়া হল সম্পূর্ণ ছাড়

🎧 Listen in Audio
0:00

প্রধানমন্ত্রী মোদী স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে পাহলগাঁও হামলার দোষী ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের এমন শাস্তি দেওয়া হবে যার কল্পনাও করা যাবে না। এই সময় তিনি হায়দ্রাবাদ হাউসে অ্যাঙ্গোলার রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাত করেছেন।

নয়াদিল্লি। জম্মু-কাশ্মীরের পাহলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে পাকিস্তান ও সন্ত্রাসবাদীদের প্রকাশ্যে সতর্ক করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, এবার প্রত্যুত্তর এতটাই তীব্র ও নির্ণায়ক হবে যে সন্ত্রাসবাদী ও তাদের মদতদাতাদের কল্পনাও হবে না।

প্রধানমন্ত্রী মোদীর কঠোর অবস্থান: "এবার হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত"

প্রধানমন্ত্রী এই হামলার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, এখন সময় এসেছে সন্ত্রাসবাদী ও তাদের আশ্রয়দাতাদের তাদের কাজের শাস্তি দেওয়ার। মোদী ইঙ্গিত দিয়েছেন যে এবারের ব্যবস্থা সীমাবদ্ধ নয়, বরং নির্ণায়ক ও কঠোর হবে।

তিনি বলেছেন, “যারা আমাদের দেশের নিরীহ মানুষদের লক্ষ্য করে, এবার তাদের সর্বাবস্থায় জবাব দেওয়া হবে। ভারত আর চুপ করে বসে থাকবে না। আমাদের জওয়ানদের সম্পূর্ণ ছাড় দেওয়া হয়েছে। এটি ‘জিরো টলারেন্স টু টেরর’ নীতির দিকে একটি বড় ধাপ।”

সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে সম্পূর্ণ ছাড়

সূত্রের খবর, সরকার সুরক্ষা বাহিনীকে সম্পূর্ণ ছাড় দিয়েছে যাতে তারা সীমান্তবর্তী এলাকায় সন্ত্রাসবাদীদের আস্তানা ধ্বংস করতে পারে। নিয়ন্ত্রণ রেখা (LoC) -এর কাছে চলমান নিবিড় তল্লাশী অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে।

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ কেবলমাত্র সন্ত্রাসবাদীদের জন্যই নয়, বরং তাদের পিছনে থাকা সংগঠন ও দেশগুলির কাছেও ভারতের স্পষ্ট বার্তা – "এখন আর সহ্য করা হবে না।"

দ্বিপাক্ষিক আলোচনায়ও বার্তা প্রেরণ

এই হামলার পটভূমিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার দিল্লীর হায়দ্রাবাদ হাউসে অ্যাঙ্গোলার রাষ্ট্রপতি জোয়াও মানুয়েল গোনকালভেস লোরেন্সোর সাথে সাক্ষাত করেছেন। দুটি দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় সন্ত্রাসবাদ একটি প্রধান বিষয় ছিল।

মোদী বলেছেন, “ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ঐক্যের সমর্থন করে। আমরা অ্যাঙ্গোলায় মতো দেশগুলির সাথে মিলে এই বিশ্বব্যাপী হুমকির মোকাবিলা করতে চাই। রাষ্ট্রপতি লোরেন্সোর সমর্থন স্বাগতযোগ্য।”

আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের চেষ্টা

ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে এই লড়াই একা নয়, বরং বিশ্বব্যাপী লড়াই করা উচিত। পাকিস্তান কর্তৃক প্রচারিত সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ভারত এখন আন্তর্জাতিক মঞ্চেও আক্রমণাত্মক অবস্থান নেবে।

Leave a comment