ফড়নবিসের শুভেচ্ছায় রাজ-বিজেপি জোটের গুঞ্জন তীব্র

ফড়নবিসের শুভেচ্ছায় রাজ-বিজেপি জোটের গুঞ্জন তীব্র
সর্বশেষ আপডেট: 14-06-2025

দেবেন্দ্র ফড়নবিসের জন্মদিনের শুভেচ্ছায় রাজনৈতিক উত্তাপ বৃদ্ধি পেল। সাম্প্রতিক সাক্ষাত ও সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জোটের গুঞ্জন তীব্র হয়েছে।

Devendra Fadnavis Wishes Raj Thackeray: মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে এখন জোটের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে এবং এই মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিসের একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট গুঞ্জনকে আরও জোরদার করেছে। ফড়নবিস মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (MNS) প্রধান রাজ ঠাকুরেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর সাথে একটি ছবি শেয়ার করেছেন। এই পোস্টকে শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক শুভেচ্ছা নয়, বরং সম্ভাব্য রাজনৈতিক ইঙ্গিত হিসেবেও দেখা হচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ও ছবির বার্তা

ফড়নবিস এক্স (পূর্বে টুইটার) -এ লিখেছেন, "মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা প্রধান রাজ ঠাকুরেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা!" এই পোস্টের সাথে তিনি রাজ ঠাকুরের ছবিও শেয়ার করেছেন। এই সাধারণ শুভেচ্ছা পোস্টটি সেই সাক্ষাতের কয়েকদিন পরে এসেছে, যেখানে উভয় নেতা বন্ধ কক্ষে প্রায় দেড় ঘণ্টা আলোচনা করেছিলেন। এর পর থেকে রাজনৈতিক মহলে ধারণা করা হচ্ছে যে, পৌর নির্বাচনের আগে বিজেপি রাজ ঠাকুরের সাথে জোটের পথ খুঁজছে।

রাজনৈতিক সাক্ষাতের পর গুঞ্জন বৃদ্ধি

উভয় নেতার মধ্যে সম্প্রতি হওয়া সাক্ষাতে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। কি বিজেপি এখন উদ্ধব ঠাকুরের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে রাজ ঠাকুরের দলকে নিজের সাথে নিয়ে আসতে চায়? কি মনসের ভূমিকা আসন্ন পৌর নির্বাচনে নির্ণায়ক হতে পারে? এই সকল প্রশ্নের উত্তর এখনও স্পষ্ট নয়, তবে জোটের সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করা যায় না।

রাজ ঠাকুরের দলের অবস্থা ও সম্ভাবনা

রাজ ঠাকুরের দল মনস গত কয়েক বছরে মূলধারার রাজনীতি থেকে কিছুটা দূরে থেকেছে, কিন্তু তাঁদের প্রভাব এখনও বিশেষ করে মুম্বই ও থানের শহুরে এলাকায় বজায় আছে। যদি বিজেপি পৌর নির্বাচনে মারাঠি ভোটারদের একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীকে আকৃষ্ট করতে চায়, তাহলে মনসের সাথে জোট একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হতে পারে।

রাজ ঠাকুরের জন্মদিন ও কর্মীদের প্রতি আহ্বান

রাজ ঠাকুর এবার তাঁর জন্মদিন দলীয় কর্মীদের সাথে পালন করেননি। তিনি আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে, তিনি ১৪ জুন মুম্বইয়ের বাইরে থাকবেন এবং কর্মীদের এ ব্যাপারে কোন রাজনৈতিক অর্থ না বের করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেছিলেন যে, কর্মীরা যদি তাঁদের এলাকায় কোন জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি করে, তিনি তাই তাঁর জন্মদিনের প্রকৃত উৎসব হিসেবে গ্রহণ করবেন।

Leave a comment