ট্রাম্পের চাপে ইস্তানবুলে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা: যুদ্ধবন্দী বিনিময়, কিন্তু যুদ্ধবিরতি নয়

ট্রাম্পের চাপে ইস্তানবুলে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা: যুদ্ধবন্দী বিনিময়, কিন্তু যুদ্ধবিরতি নয়
সর্বশেষ আপডেট: 17-05-2025

ট্রাম্পের চাপে ইস্তানবুলে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা। যুদ্ধবন্দী বিনিময়ের ব্যাপারে সম্মতি, কিন্তু যুদ্ধবিরতি ও শান্তি চুক্তি নিয়ে কোনও অগ্রগতি হয়নি।

রাশিয়া-ইউক্রেন বৈঠক: তিন বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো তুরস্কের ইস্তানবুলে মুখোমুখি বৈঠক করে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। এই আলোচনা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপে, যিনি ইউরোপের সবচেয়ে মারাত্মক সংঘাতের অবসান ঘটানোর জন্য তীব্র প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করেছেন।

আলোচনায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে অমীমাংসিত অবস্থা

রাশিয়া ও ইউক্রেনের এই প্রথম সরাসরি শান্তি আলোচনায় প্রায় দুই ঘণ্টা আলোচনা হয়। এতে যুদ্ধবন্দী বিনিময়, অর্থাৎ ১০০০-১০০০ যুদ্ধবন্দী বিনিময়ের ব্যাপারে সম্মতি হলেও, যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনও স্পষ্ট সমঝোতা হয়নি।

উভয় পক্ষই এই বিনিময় চুক্তিকে ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে মনে করেছে, কিন্তু শান্তির পথে বড় বাধা এখনও অব্যাহত রয়েছে।

মার্কিন চাপে আলোচনা

এই আলোচনা ট্রাম্প প্রশাসনের চাপ এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিয়োর উপস্থিতিতে হয়েছে। রুবিয়ো স্পষ্ট করে বলেছেন যে, যতক্ষণ না আলোচনাকারীদের পর্যায় উন্নত করা হবে, ততক্ষণ কোনও বড় সাফল্য অর্জন সম্ভব নয়।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রও জোর দিয়ে বলেছেন যে, যদি রাশিয়া সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চায়, তাহলে প্রথমে অস্ত্র নিঃশব্দ করা উচিত।

তুরস্কের মধ্যস্থতায় বৈঠক

এই বৈঠকের আয়োজন তুরস্কের দোলমাবাচে প্রাসাদে হয়েছে। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেছেন, "এই সময় শান্তির পথ বেছে নেওয়ার, নয়তো আরও ধ্বংসের।"

তবে, রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি পুতিন নিজে বৈঠকে অংশগ্রহণ করেননি। তিনি মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দল পাঠিয়েছেন, যার জবাবে ইউক্রেনও একই পর্যায়ের প্রতিনিধি পাঠিয়েছে।

দুই দেশের দাবি ও মতবিরোধ

রাশিয়ার প্রধান দাবি হল ইউক্রেন যেন ন্যাটো সদস্যপদ চাওয়ার ইচ্ছা ত্যাগ করে এবং 'তটস্থ দেশ' হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু ইউক্রেন এটিকে আত্মসমর্পণ হিসেবে মনে করে মার্কিন নেতৃত্বে ভবিষ্যতের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার দাবি করেছে।

ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়া ইতোমধ্যে প্রায় ৬.৪ লক্ষ সৈন্য ইউক্রেনে মোতায়েন করেছে এবং যুদ্ধ এখন ক্লান্তিকর যুদ্ধে পরিণত হয়েছে।

আলোচনার সময়ও যুদ্ধ অব্যাহত, দিপ্রোতে বিস্ফোরণ

আলোচনার সময়ও ইউক্রেনের দিপ্রো শহরে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। রাশিয়া আরেকটি গ্রাম দখলের দাবি করেছে। এর থেকে স্পষ্ট, স্থল যুদ্ধ ও আলোচনা একসাথে চলছে।

Leave a comment