নাগপুরের হান্সপুরীতে রাতের বেলায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে, অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ভাঙচুর, পাথর ছোড়া এবং অগ্নিসংযোগ করে। এর আগে মহালে সংঘর্ষ হয়েছিল। পরিস্থিতি বিগড়ে ওঠায় অনেক এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়।
মহারাষ্ট্র নিউজ: মহারাষ্ট্রের নাগপুরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত। মহাল এলাকায় সংঘর্ষের পর হান্সপুরীতেও হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। অজ্ঞাত দুষ্কৃতীরা দোকানপাটে ভাঙচুর করে, গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং পাথর ছোড়ে। পরিস্থিতি বিগড়ে ওঠায় প্রশাসন অনেক এলাকায় কারফিউ জারি করেছে।
হান্সপুরীতে দোকান ও গাড়িতে হামলা
রিপোর্ট অনুযায়ী, রাতের বেলায় নাগপুরের হান্সপুরী এলাকায় নকাবধারী হামলাকারীরা ব্যাপক উৎপাত করে। দুষ্কৃতীরা দোকানপাটে ভাঙচুর করে, গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং পাথর ছোড়ে। এর আগে মহাল এলাকায় দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে ছিল।
একজন প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায়, 'একদল হঠাৎ এসে উপস্থিত হয়, তাদের মুখ স্কার্ফ দিয়ে ঢাকা ছিল। তাদের হাতে ধারালো অস্ত্র, লাঠি এবং বোতল ছিল। তারা দোকানপাটে হামলা চালায়, পাথর ছোড়ে এবং গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।'
স্থানীয় বাসিন্দারা হিংসার ঘটনা নিশ্চিত করেছেন
আরেকজন স্থানীয় বাসিন্দাও এই হিংসার ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, 'দুষ্কৃতীরা দোকানপাটে ব্যাপক ভাঙচুর করে এবং প্রায় ৮-১০টি গাড়িকে আগুনে পুড়িয়ে দেয়।'
কংগ্রেস সাংসদ হামলার নিন্দা করেছেন
দিল্লিতে কংগ্রেস সাংসদ শ্যামকুমার বারভে এই হিংসার নিন্দা করে জনতাকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন,
"নাগপুরে কখনও হিন্দু-মুসলিম সংঘর্ষ হয়নি। আমি সকল সম্প্রদায়কে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। এ ধরণের ঘটনার মাধ্যমে প্রধান বিষয়গুলি থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।"
পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য
নাগপুরের পুলিশ কমিশনার ডঃ রবিন্দ্র সিংহল নাগরিকদের আশ্বাস দিয়েছেন যে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনা রাত ৮টা থেকে ৮টা ৩০ মিনিটের মধ্যে ঘটেছে।
"পরিস্থিতি এখন শান্ত। একটি ছবি পোড়ানোর পর ভিড় জড়ো হয়েছিল। আমরা তাদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য বুঝিয়েছি এবং এই বিষয়ে ব্যবস্থাও নিয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।"
ধারা ১৪৪ জারি, গুজবের প্রতি লক্ষ্য না করার আহ্বান
পুলিশ হিংসায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতার করার জন্য তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে প্রশাসন ধারা ১৪৪ জারি করেছে, যার ফলে চার বা তার বেশি লোকের একত্রিত হওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।