মোহসিন রাজার ওয়াকফ সম্পত্তি বিরোধী বক্তব্য: সুপ্রিম কোর্টে মামলা

🎧 Listen in Audio
0:00

বিজেপি নেতা মোহসিন রাজা ওয়াকফ আইন নিয়ে বলেছেন, কিছু মুসলিম নেতা ওয়াকফ সম্পত্তিকে আল্লাহর সম্পত্তি বলে ভুল বুঝিয়ে দিচ্ছেন। সুপ্রিম কোর্টেও মামলা রয়েছে, কেন্দ্র বলেছে ওয়াকফ ইসলামের অপরিহার্য অংশ নয়।

UP News: ওয়াকফ (Waqf) সংক্রান্ত বিষয়টি আবারও আলোচনায় উঠে এসেছে, এবং এবার কেন্দ্রে রয়েছেন বিজেপি নেতা এবং উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী মোহসিন রাজা। তিনি মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু নেতার উপর ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে গুরুতর অভিযোগ আনেন। তাঁর বক্তব্য, এই সম্পত্তিগুলি আল্লাহর নামে নয়, বরং মানুষ দ্বারা দান করা হয়েছে এবং কিছু তথাকথিত মৌলবী এগুলিকে নিজেদের দখলে রেখেছেন।

"ওয়াকফ ইসলামের অপরিহার্য অংশ নয়": মোহসিন রাজা

মোহসিন রাজা বলেছেন যে, ওয়াকফের উল্লেখ কোরআনে নেই এবং আল্লাহও এ ব্যাপারে কোন নির্দেশ দেননি। তাঁর মতে, ওয়াকফকে ইসলামের অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন বলে মনে করা ভুল। তিনি ওয়াকফ সংশোধন আইন (Waqf Amendment Act) এর সমর্থন করে বলেছেন যে, এটি ওয়াকফ সম্পত্তির সঠিক তত্ত্বাবধান এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।

মুসলিম ধর্মগুরুদের উপর গুরুতর অভিযোগ

রাজার অভিযোগ, কিছু মৌলবী-সদৃশ মুসলিম ধর্মগুরু ওয়াকফের সম্পত্তি নিজস্ব স্বার্থে ব্যবহার করছেন। তিনি বলেছেন, এই সম্পত্তি থেকে সমাজের কোন লাভ হচ্ছে না এবং গরিবদের কোন সাহায্যও হচ্ছে না। "এরা ওয়াকফকে আল্লাহর দান বলে দাবি করে তা দখল করতে চায়," তিনি যোগ করেছেন।

সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছেছে মামলা

মামলাটি সুপ্রিম কোর্টেও পৌঁছেছে, যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী স্পষ্ট করে বলেছেন যে, ওয়াকফ ইসলামের অপরিহার্য অংশ নয়, বরং এটি শুধুমাত্র একটি দান প্রক্রিয়া (Charitable Process)। সরকারের বক্তব্য, ওয়াকফ বোর্ড একটি ধর্মনিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান, অন্যদিকে মন্দির একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এই ভিত্তিতে উভয়ের তুলনা করা যায় না।

ওয়াকফ সম্পত্তি এবং রাজনীতি

মোহসিন রাজা আরও দাবি করেছেন যে, অনেক মুসলিম নেতার কাছে ওয়াকফের অঢেল সম্পত্তি রয়েছে। এখন যখন তাদের কাছ থেকে হিসাব চাওয়া হচ্ছে, তখন তারা বিরক্ত হয়ে এর প্রতিবাদ করছেন। তাঁর অভিযোগ, ওয়াকফ সম্পত্তির নামে মুসলিম সম্প্রদায়কে শুধুমাত্র ভুল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিরোধী ও মুসলিম সংগঠনের ক্ষোভ

একদিকে বিজেপি নেতা এই আইনের সমর্থন করছেন, অন্যদিকে মুসলিম সংগঠন ও বিরোধী দলগুলির মধ্যে এই সংশোধনের বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে। তাদের মতে, এই আইন মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অধিকারে হস্তক্ষেপ করেছে এবং এটি প্রত্যাহার করা উচিত।

Leave a comment