দিল্লির মহিলা সম্মান যোজনা নিয়ে বিতর্ক, তদন্তের নির্দেশ

🎧 Listen in Audio
0:00

দিল্লির 'মহিলা সম্মান যোজনা' বিতর্কিত। উপরাজ্যপালের নির্দেশে প্রকল্পের তদন্ত, ব্যক্তিগত জালিয়াতির অভিযোগ। নির্বাচনের পর ২,১০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি, ২০২৫-এর নির্বাচনী প্রচারে এটিকে ইস্যু করার আশঙ্কা।

মহিলা সম্মান যোজনা: দিল্লি সরকার মহিলাদের প্রতি মাসে ১,০০০ টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেয়েছে। যদিও, এই প্রকল্পের আওতায় মহিলাদের অ্যাকাউন্টে টাকা নির্বাচনের পরেই জমা দেওয়া হবে। আম আদমি পার্টি (আপ) ঘোষণা করেছে যে, তারা নির্বাচনে জিতে সরকার গঠন করলে এই টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে ২,১০০ টাকা প্রতি মাসে করা হবে।

পরিকল্পনার তদন্তের নির্দেশ

দিল্লির উপরাজ্যপাল (LG) এই প্রকল্পের অধীনে ব্যক্তিগত বিবরণ এবং ফর্ম সংগ্রহের ক্ষেত্রে বেসরকারি ব্যক্তিদের দ্বারা জালিয়াতির অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, তিনি যেন বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে এই বিষয়টি তদন্ত করান। উপরাজ্যপাল জানিয়েছেন, পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হোক, যাতে যারা সুবিধা দেওয়ার নামে সরল মানুষদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

ভুয়া তালিকাভুক্তির উপর কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ

উপরাজ্যপাল দিল্লির ডিসিপি-কেও নির্দেশ দিয়েছেন, সরকারি প্রকল্পের ভুয়া তালিকাভুক্তির জন্য যারা শিবির আয়োজন করছে, সেই বেসরকারি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে। সরকারি প্রকল্পগুলি যাতে সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য উপরাজ্যপাল সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সক্রিয় থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ও বিতর্ক

২০২৫ সালের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে, আপ সরকার মহিলাদের মাসিক আর্থিক সহায়তা দেওয়ার এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্পের ঘোষণা করেছিল। এই প্রকল্পের অধীনে, দিল্লির ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সের প্রত্যেক মহিলাকে প্রতি মাসে ১,০০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, পুনরায় নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে এই টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে ২,১০০ টাকা প্রতি মাসে করার ঘোষণাও করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনকে জানানোর দাবি

উপরাজ্যপাল মুখ্যসচিবকে বলেছেন, এই বিষয়টি দিল্লির মুখ্য নির্বাচনী কার্যালয়ের মাধ্যমে ভারতের নির্বাচন কমিশনের নজরে আনা হোক। উপরাজ্যপাল উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন যে, বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এই ধরনের প্রচার-প্রচারণা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে।

Leave a comment