জি৭ শীর্ষ সম্মেলন ২০২৪-এ প্রধানমন্ত্রী মোদীর অংশগ্রহণের সম্ভাবনা কম, ১৫-১৭ জুন কানাডায় অনুষ্ঠিত হবে সম্মেলন। খালিস্তানী বিতর্কের জেরে ভারত এখনও আমন্ত্রণ পায়নি। কানাডা ও ভারতের সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত।
প্রধানমন্ত্রী মোদী: কানাডার আলবার্টায় ১৫-১৭ জুন পর্যন্ত জি৭ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এবার কানাডা এই আয়োজনের আতিথেয়তা করছে। কিন্তু বিশেষ ব্যাপার হল, ছয় বছর পর প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন না। এখনও পর্যন্ত ভারত এই সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পায়নি। এর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রতি বছর জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করে আসছেন।
কেন যাবেন না প্রধানমন্ত্রী মোদী?
সূত্রের খবর, ভারত এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি যে তারা এবার সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবে কি না। আসলে, গত বছর থেকে ভারত ও কানাডার মধ্যে সম্পর্ক বেশ উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে খালিস্তানী বিচ্ছিন্নতাবাদী ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে মতবিরোধ গভীর হয়ে উঠেছে। ভারতের আশঙ্কা, কানাডার নতুন সরকার খালিস্তানী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে ভারতের উদ্বেগকে গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করছে না। এটাই কারণ প্রধানমন্ত্রী মোদীর সম্মেলনে যাওয়া কঠিন মনে হচ্ছে।
কানাডার নীরবতা, ভারতের উদ্বেগ
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনের মতে, কানাডা এখনও স্পষ্ট করেছে না যে ভারতকে জি৭ সম্মেলনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কি না। কানাডার কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকেও এ ব্যাপারে কোনও বক্তব্য আসেনি। অন্যদিকে কানাডার মিডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইউক্রেন, অস্ট্রেলিয়া এবং ব্রাজিলকে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে। ভারতের নাম ওই দেশগুলির তালিকায় নেই।
২০২৩ থেকে বিগড়ে যাওয়া সম্পর্ক
২০২৩ সাল থেকে ভারত ও কানাডার সম্পর্ক বেশ খারাপ হয়েছে। কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ভারতকে খালিস্তানী সন্ত্রাসী হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ করেছিলেন। যদিও ভারত এই অভিযোগগুলিকে সম্পূর্ণভাবে নাকচ করে দিয়েছে। কানাডাও এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করেনি। এই বিতর্কের পর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে বেশ তিক্ততা দেখা দিয়েছে।
জি৭-এর সদস্য দেশ
জি৭-এ কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র সদস্য। প্রতি বছর এই গোষ্ঠী বিশ্ব অর্থনীতি, নিরাপত্তা এবং জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আরও কিছু দেশকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ভারতও গত কয়েক বছর ধরে জি৭-এ অংশগ্রহণ করে আসছে, কিন্তু এবার পরিস্থিতি জটিল মনে হচ্ছে।
