আমেরিকা-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ: উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি

আমেরিকা-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ: উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি
🎧 Listen in Audio
0:00

আমেরিকা ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনা আবারও বেড়েছে। গত ১৫ দিনে চীন থেকে আমেরিকায় যাওয়া চালানের পরিমাণ ৫০% কমেছে। আমেরিকার অভিযোগ, চীন রেয়ার আর্থসহ গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। এপ্রিলে দুই দেশের মধ্যে যে ট্যারিফ চুক্তি হয়েছিল, সেটিও ভেঙে পড়ার উপক্রম। চীন আমেরিকার উপর নতুন বাণিজ্যিক বিরোধের অভিযোগ এনেছে।

আমেরিকা-চীন বাণিজ্যে হ্রাস

বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনা আবারও গভীর হচ্ছে। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, চীন থেকে আমেরিকায় পণ্যবাহী জাহাজের সংখ্যা গত ১৫ দিনে ৫০% কমেছে। ফেব্রুয়ারির পর থেকে এটি সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই হ্রাস আমেরিকা-চীন বাণিজ্যিক বিরোধের কারণে, যার প্রভাব দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কের উপর স্পষ্ট।

ট্যারিফ চুক্তির উপর সংকট

আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন যে চীন এপ্রিলে দুই দেশের মধ্যে হওয়া বাণিজ্য চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। এই চুক্তির অধীনে দুই দেশ পরস্পরের উপর আরোপিত ট্যারিফ ৯০ দিনের জন্য কমিয়েছিল। ট্রাম্প তার বক্তব্যে বলেছেন, চীনের সাথে এই চুক্তি তড়িঘড়ি করে করা হয়েছিল এবং এখন চীন তা গুরুত্বের সাথে নেয়নি। আমেরিকার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে, এবং সমাধানের জন্য ট্রাম্প ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সরাসরি আলোচনা প্রয়োজন হতে পারে।

রেয়ার আর্থ সরবরাহে প্রভাব

আমেরিকার অর্থমন্ত্রী সম্প্রতি বলেছেন যে চীন রেয়ার আর্থ এবং তার সংশ্লিষ্ট পণ্যের রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। রেয়ার আর্থ স্মার্টফোন, ইলেকট্রিক যানবাহন, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ইত্যাদি উন্নত পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। চীনের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব আমেরিকার প্রযুক্তি এবং প্রতিরক্ষা খাতের উপর পড়তে পারে।

অন্যদিকে, চীনের দাবি, তারা বাণিজ্য চুক্তি পুরোপুরি পালন করেছে, আমেরিকা একতরফা সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিরোধ বাড়াচ্ছে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে বলেছে, যদি আমেরিকা চীনের স্বার্থে ক্ষতি করে, তাহলে চীন তার বৈধ অধিকার রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

বাণিজ্য ছাড়াও বর্ধমান প্রতিযোগিতা

আমেরিকা ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা শুধুমাত্র বাণিজ্য পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়। আমেরিকা সম্প্রতি চীনের প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য প্রযুক্তি রপ্তানিতে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং পাশাপাশি চীনা শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সীমাবদ্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছে। অন্যদিকে, চীনের উৎপাদন কার্যকলাপে মে মাসে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্রমাগত হ্রাস দেখা গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে দুই দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতার পরিধি প্রসারিত হচ্ছে।

Leave a comment