ইলাহাবাদ হাইকোর্ট: নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন মামলায় গুরুত্বপূর্ণ রায়

🎧 Listen in Audio
0:00

ইলাহাবাদ হাইকোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ রায়ে বলেছে যে, কোনও নাবালিকার ব্যক্তিগত অঙ্গ স্পর্শ করা এবং পোশাকের নাড়া ছিড়ে ফেলা ধর্ষণের চেষ্টা নয়, বরং ‘গুরুতর যৌন নির্যাতন’ এর আওতায় পড়বে।

প্রয়াগরাজ: ইলাহাবাদ হাইকোর্ট নাবালিকার বক্ষ স্পর্শ এবং পোশাকের নাড়া ছিড়ে ফেলার ঘটনাকে ধর্ষণের চেষ্টার পরিবর্তে গুরুতর যৌন নির্যাতন বলে মনে করেছে। বিচারপতি রাম মনোহর নারায়ণ মিশ্রের একক বেঞ্চ কাসগঞ্জের বিশেষ বিচারক (পকসো কোর্ট) কর্তৃক জারি করা তলব আদেশ সংশোধন করেছে এবং নতুন করে তলব জারির নির্দেশ দিয়েছে। কোর্ট স্পষ্ট করে বলেছে যে ধর্ষণের অভিযোগে জারি করা তলব আইনসম্মত নয়।

কোর্ট কী বলেছে?

বিচারপতি রাম মনোহর নারায়ণ মিশ্রের একক বেঞ্চ কাসগঞ্জের বিশেষ পকসো কোর্টের আদেশ আংশিকভাবে সংশোধন করে বলেছে যে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এখন ভারতীয় দণ্ডবিধি (আইপিসি) ধারা ৩৫৪-বি (নগ্ন করার উদ্দেশ্যে আক্রমণ) এবং পকসো আইনের ধারা ৯/১০ (গুরুতর যৌন আক্রমণ) অনুযায়ী মামলা চলবে।

এই মামলায় আবেদনকারী আকাশ, পবন এবং অশোকের বিরুদ্ধে আগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩৭৬ (ধর্ষণ) এবং পকসো আইনের ধারা ১৮ (ধর্ষণের চেষ্টা) অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছিল। হাইকোর্ট বলেছে যে, উপলব্ধ প্রমাণের ভিত্তিতে এই অভিযোগ ধর্ষণের চেষ্টার আওতায় পড়ে না।

সম্পূর্ণ ঘটনা কী ছিল?

এই ঘটনা উত্তরপ্রদেশের কাসগঞ্জ জেলার পটিয়ালি থানা এলাকার। অভিযোগকারী পক্ষের দাবি, অভিযুক্তরা ১১ বছর বয়সী ভুক্তভোগীর বক্ষ স্পর্শ করে, তার পোশাকের নাড়া ছিড়ে ফেলে এবং তাকে পুলিয়ার নিচে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সাক্ষীদের হস্তক্ষেপে ভুক্তভোগীকে বাঁচানো হয় এবং অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।

এই রায় থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের মামলায় আইনগতভাবে স্পষ্ট পার্থক্য করা হবে। কোর্ট বলেছে যে যৌন আক্রমণের গুরুত্ব বুঝে, ভুক্তভোগীকে ন্যায়বিচার পাওয়া অত্যাবশ্যক, কিন্তু আইন সঠিকভাবে প্রয়োগ করাও ঠিক ততটাই প্রয়োজন।

Leave a comment