দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বদলি ইলাহাবাদ হাইকোর্টে করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট ইলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছে যে বিচারপতি বর্মাকে কোনও ন্যায়িক কাজ দেওয়া হবে না।
বিচারপতি যশবন্ত বর্মা: দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বদলি ইলাহাবাদ হাইকোর্টে করা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম এই বদলির সুপারিশ করেছিল, যা কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদন দিয়েছে। এই পদক্ষেপটি এমন সময় নেওয়া হয়েছে যখন কয়েক দিন আগে বিচারপতি বর্মার সরকারি বাসস্থান থেকে পোড়া নোট উদ্ধারের ঘটনা সামনে এসেছে। এই ঘটনার পর সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে ইলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে বলেছে যে বিচারপতি বর্মাকে এখনই কোনও ন্যায়িক কাজ দেওয়া হবে না।
কী ঘটেছে?
কয়েক দিন আগে বিচারপতি বর্মার সরকারি বাসস্থানে আগুন লেগেছিল। সেখান থেকে পোড়া নোটের টুকরো উদ্ধার করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট পোড়া টাকার ভিডিওও প্রকাশ করেছে। এই ঘটনার পর থেকেই ন্যায়পালিকা এবং রাজনৈতিক মহলে আলোচনার তীব্রতা বেড়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের কঠোর অবস্থান
ভারতের প্রধান বিচারপতি এই ঘটনাকে গুরুত্বের সাথে নিয়ে ২১শে মার্চ একটি অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর অধীনে একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা এই পুরো ঘটনার গভীর তদন্ত করছে। সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে বিচারপতি বর্মার ইলাহাবাদ হাইকোর্টে বদলি হওয়ার পরেও তাকে কোনও ন্যায়িক কাজ দেওয়া হবে না।
এই ঘটনা রাজনৈতিক পরিবেশকেও উত্তপ্ত করে তুলেছে। বিরোধী দলগুলি ন্যায়পালিকার স্বচ্ছতার উপর প্রশ্ন তুলেছে, অন্যদিকে বার এসোসিয়েশন এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়ামের সিদ্ধান্ত
পুলিশ বিচারপতি বর্মার বাড়ির সেই অংশটি সিল করে দিয়েছে যেখান থেকে পোড়া নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল। তিন সদস্যের কমিটি দ্বারা তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে। শীঘ্রই কমিটি তার প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টকে জমা দেবে। দিল্লি হাইকোর্ট থেকে ইলাহাবাদ হাইকোর্টে বদলির সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়ামের সুপারিশের ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার এই সুপারিশ অনুমোদন দিয়েছে।
এই ঘটনা ন্যায়পালিকার সুনামের উপর গুরুতর প্রশ্ন তুলে ধরেছে। পোড়া নোটের ঘটনা নিয়ে নানা ধরণের অনুমান করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের এই কঠোর পদক্ষেপ ন্যায়পালিকার নিরপেক্ষতা বজায় রাখার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।